বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিজ ঘরে আড়ার সাথে ডিশ লাইনের তার প্যাচানো অবস্থায় মামুন (৩৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেন।
শনিবার ( ৯ সেপ্টেম্বর ) রাত আনুমানিক সোয়া ৯ টার দিকে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড পূর্ব-সরালিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মামুন মৃত ফারুক শেখের ছেলে। মামুনের স্ত্রী ১ ছেলে এবং ১ মেয়ে রয়েছে। তবে মামুন আত্মহত্যা করেছে বলেই ধারণা করছে সবাই। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কোন কারণ এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মামুন শেখ ও তার স্ত্রী'র মধ্যে কিছু দিন ধরে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়, যার ফলে মামুনের স্ত্রী ঢাকা গার্মেন্টসে কাজ করেন এবং তার ২ সন্তানকে নিয়ে ঢাকায়ই থাকেন। মামুন প্রায়ই ঢাকায় যেত তার স্ত্রী-সন্তানদের ফিরিয়ে আনতে। তবে তার স্ত্রী আসতে অনীহা দেখায়। মৃত্যুর ১দিন আগে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। মামুন পেশায় একজন মোটরসাইকেল ড্রাইভার। মামুনের বসতঘর মোরেলগঞ্জ নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হরিণধরা খালের পাশে। তার মটরসাইকেল প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ইদ্রিস আলী হাওলাদারের বাড়ি রাখেন এবং মামুনের স্ত্রী বাড়ি না থাকায় প্রায়ই রাতের খাবার ওই বাড়ি খেয়ে থাকেন। শনিবার সন্ধ্যায় মামুন একসাথে খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিবেশির ছেলে মোঃ শাওন
হাওলাদার(২৪) কে রাতে খাবার আগে ফোন দিতে বলেন। শাওন হাওলাদার কয়েকবার ফোন দিলেও ফোন না ধরলে মামুনের বাসায় যায় তাকে ডেকে আনতে। ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকিতে সাড়া না মিললে পরে ঘরের ভিতরে লাইট জ্বলতে দেখে শাওন দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয়। উঁকি দিয়ে শাওন দেখতে পায় মামুন ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুঁলে আছে। তাৎক্ষণিক শাওন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আজিজুর রহমান মিলনকে ফোন দিয়ে সব জানায়। পরে কাউন্সিলর মিলন সবাইকে ফোনে এ ঘটনা জানিয়ে দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং মামুনের মরদেহের সুরুতহাল প্রস্তুত করে। রবিবার সকালে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেছেন বলে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান জানান ।