কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে পানি, কলম ও স্যালাইন বিতরণ কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা সন্ত্রাসমুক্ত ও নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন উখিয়ায় কলেজ শিক্ষক ইকবাল খুন কৃষি বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত "কৃষিবিদ" পদবী ব্যবহার করা যাবে না: বাকৃবি শিক্ষার্থীরা পীরগাছায় বসতভিটার জমি দখলের অভিযোগ!! প্রায় দেড়শ বছর ধরে যাতায়াতের রাস্তা বাঁশের বেড়া নওগাঁয় নার্সিং শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন পালিত. সিরাজগঞ্জে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রচার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত। প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজে Seminar on Foundation English অনুষ্ঠিত আক্কেলপুরের জামায়াতের মহিলা বিভাগের নির্বাচনী প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত. শ্যামনগরে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা ছাত্রদলনেতা পারভেজ হত্যার বিচার চেয়ে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ রাষ্ট্রপতিরা ৩৩ বছরে কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে হাইকোর্টের রুল মেঘনা আলমের ব্যাংক হিসাব তলব সিরাজগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা উদ্বোধন তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম বিশ্ববাসীর প্রতি ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ ভিশনের আহ্বান যেভাবে নির্বাচিত হবেন পরবর্তী পোপ বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে : আসিফ নজরুল কমিশনের উদ্দেশ্য পুনরায় যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে

সাংবাদিক লাঞ্ছিত শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের দুই সদস্য ক্লোজড


বগুড়ার শেরপুরে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের দুই সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই চন্দন ও সেন্ট্রি হাবিবা।

৯ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) হাসেম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


 

তথ্যমতে, সোমবার (০৮ জুলাই) দুপুরে শেরপুর হাইওয়ে থানা চত্ত্বরে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ডেল্টা টাইমস্ পত্রিকার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শাওন ব্যক্তিগত কাজে গেলে এস আই চন্দনের হাতে মারধরের শিকার হন।  জানা যায়, ঐদিন সকাল ১১টার দিকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ইসলাম তার ব্যক্তিগত কাজে শেরপুর হাইওয়ে থানায় যান।



মোটরসাইকেল নিয়ে থানার গেটে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত সেন্ট্রি হাবিবা তাকে থামার জন্য ইশারা করেন। তিনি বুঝতে না পেরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে সরাসরি থানা ভবনে ঢুকতে গেলে সেন্ট্রি হাবিবা বলেন, 'আপনি পাগল নাকি? ইশারা বোঝেন না?'। একথা শুনে তিনি এগিয়ে এসে বলেন, 'এভাবে বলছেন কেন? আমি যে পাগল এটা প্রমাণ করতে পারবেন?' একথা বলায় সেন্ট্রি হাবিবা রেগে গিয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তার উচ্চবাচ্যে লোকজন এগিয়ে আসেন। এসময় দৈনিক ডেল্টা টাইমস্ পত্রিকার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শাওন কাছে গিয়ে দুজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তার মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ইসলাম তার কাজ সেরে চলে যান। সাংবাদিক শাওন তার কাজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।



এর কিছুক্ষণ পর সেন্ট্রি হাবিবা থানা ভবনের ভেতরে যান এবং মিনিট পাঁচেক পর বের হয়ে আসেন। এর একটু পরই এস আই চন্দন এসে সাংবাদিক শাওনের পোলো শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে কিল ঘুষি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। ঘটনাটি সাংবাদিকদের মধ্যে জানাজানি হলে ২০-২৫ জন সাংবাদিক শেরপুর হাইওয়ে থানায় গিয়ে অবস্থান নিয়ে হাইওয়ে ইনচার্জ (ওসি) হাসেমের কাছে বিচার দাবী করেন। পরে, হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার আলী আহমেদ হাশমী এসে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাদের  ব্যাপারে সঠিক বিচারের  আশ্বাস দেন।



এর আগে গত জুন মাসে আনন্দ টেলিভিশনের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি বাঁধন কর্মকার কৃষ্ণ এসআই চন্দনের হাতে লাঞ্ছিত হন। বাঁধন কর্মকার কৃষ্ণ বলেন, গত মাসে এক আত্মীয়র চেকআপ শেষে বগুড়া থেকে শেরপুরে ফিরছিলাম। অপারেশনের রোগী হওয়ায় তাকে পাবলিক বাসে না নিয়ে সিএনজিতে আনা হচ্ছিল। সিএনজি শেরপুর হাইওয়ে থানার কাছে আসলে কনস্টেবল মেহেদী সিনএজিকে থামানোর সিগন্যাল দেয়। সিএনজি থামলে কনস্টেবল মেহেদী ড্রাইভারকে গাড়ি থানার ভেতর নিতে বলে। এ সময় আমি আমার পরিচয় দিয়ে বলি, গাড়ী থানায় নিয়েননা। গাড়ীতে অসুস্থ  রেগী আছে। রোগী নিয়ে দ্রƒত বাড়িতে যেতে হবে। তখন কনস্টেবল মেহেদী আমাকে বলেন, 'ঐ মিয়া সাংবাদিক বলে দেশ কিনে নিয়েছেন নাকি?  আপনি যা বলবেন তাই শুনতে হবে? চলেন, আমার অফিসারের সাথে কথা বলেন!' এরপর গাড়ি নিয়ে আমাকে থানার ভেতর যেতে বাধ্য করে। পরে, এসআই চন্দন তার সামনে থাকা চেয়ার পা দিয়ে ঠেলে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলতে থাকে কিরে, মেহেদী! এসব ভূয়া সাংবাদিক ধরার জন্যই তো ডিজিটাল আইন তাই না? এ সময় কনস্টেবল মেহেদী  চন্দনের ইশারায় বলেন, আপনার আইডি কার্ড দেখান। এসআই চন্দন বলেন, আইডি কার্ড আছে তো? নাকি, ভূয়া সাংবাদিক? পরে, হাইওয়ে ইনচার্জের সহায়তায় গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়।


ঊল্লেখ্য, ৮ জুলাই সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় শেরপুর প্রেসক্লাবসহ শেরপুরে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শেরপুর হাইওয়ে থানায় গিয়ে অবস্থান নিয়ে হাইওয়ে ইনচার্জ (ওসি) হাসেমের কাছে বিচার দাবী করেন। পরে, হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার আলী আহমেদ হাশমী এসে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাদের  ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তড়িৎগতিতে অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় শেরপুর প্রেসক্লাবসহ শেরপুরে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে শেরপুর হাইওয়ে ইনচার্জ (ওসি) হাসেম ও হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার আলী আহমেদ হাশমীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

Tag
আরও খবর