চলমান মসজিদের নির্মাণকাজ ভালো করে করতে বলায় মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতির ওপর ঠিকাদার-শ্রমিকেরা হামলা চালিয়েছে। তাদের এলোপাতাড়ি হামলায় সভ-সভাপতি এডভোকেট আয়াছুর রহমান সহ চার আইনজীবীর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঠিকাদার এসএম মনজুরুল হকসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে নির্মাণকাজ তদারকি করতে গিয়ে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় জেলাব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এ ঘটনায় কক্সবাজার প্রেসক্লার ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেলসহ সকল সদস্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ, দ্রুত সময়ে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে আহত এডভোকেট আয়াছুর রহমান বাদী হয়ে নয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া আমিরাবাদ এলাকার মৃত নজির আহমদ চৌধুরীর পুত্র ও ঠিকাদার এসএম মনজুরুল হক (৫৮), নুর উদ্দিন (২৮), মোঃ দ্বীনি ইসলাম (২২), নূর নবী (৩২), শাকারুল ইসলাম (২৩) , মোঃ জাবের (২১), আবুল কালাম (৩৮), জাহাঙ্গীর হোসেন রহিম (২৪), মোঃ স্বপন (৩২)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী ও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট আয়াছুর রহমার বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে নামাজ আদায় করে নির্মানাধীন মসজিদের কাজ দকারকি করছিলেন। এসময় কাজে ত্রুটি দেখা দিলে দায়িত্বরত ঠিকাদারের কাছে বিষয়টি জানতে চান। এসময় উক্ত ঠিকাদার সদোত্তর না দিয়ে উল্টো তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় কর্মরত শ্রমিকরা চড়াও হয়ে লোহার রড, খন্তা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে।
ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ পথচারী, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করে হামলাকারীদের ঘেরাও করে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল ঠিকাদারসহ সাতনজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
হামলায় আহত অপর আইনজীবী আব্দুল মান্নান জানান, মসজিদের পিলারের কিউরিং ভালো করে করতে বলায় তার ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে। তাঁর একজন জুনিয়র আইনজীবী হাত না দিলে হামলাকারীর ছুরি এডভোকেট আয়াছুর রহমানের পেটে ঢুকে যেতো বলেও জানান তিনি।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহাবুবুর রহমান দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঠিকাদারসহ সাতজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ, কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গণপূর্ত বিভাগ মসজিদটি নির্মাণ করছে। এ মসজিদের ঠিকাদারের অবহেলায় মসজিদ নির্মাণ নির্ধারিত সময়ে না হওয়ায় মুসল্লীদের ক্ষোভ রয়েছে।
৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৫ দিন ৩ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৬ দিন ৫ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৭ দিন ৩ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৮ দিন ৫ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৯ দিন ৭ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৯ দিন ১২ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১১ দিন ১০ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে