কুমিল্লায় এনজিও সংস্থা ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান এডভান্সমেন্ট (দিয়া)'র উদ্যোগে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও মাদকের কুফল সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ জুন শুক্রবার সকালে দিয়া'র প্রধান কার্যালয় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর পশ্চিম পাড়া একে ভবনের ২য় তলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় দিয়া'র উপ-পরিচালক মোঃ আবুল বাশারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, দিয়া'র নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ আবুল কাশেম। দিয়া'র পরিচালক নাছরিন আক্তার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার নুসরাত জাহান,মনিটরিং অফিসার মোঃ সুমন মিয়া, কুমিল্লা শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, নাজমুল হক, সুজন চন্দ্ৰ ঘোষ, জহিরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, মোতালেব হোসেন, মোঃ ফিরোজ হাসান প্রমুখ।
এ সময় আলোচনা সভায় দিয়া'র নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ আবুল কাশেম বলেন, সকল স্টাফদের এক হয়ে দলবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। সব সময় যে যেখানেই থাকুক না কেন অসহায় ও দারিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। চোখের সামনে কোন অন্যায় অত্যাচার দেখলে তা প্রতিরোধ করতে হবে।
বাল্যবিবাহের কুফল বাস্তবে আমাদের দেশে কোনো কোনো শিশুর এতো অল্প বয়সে বিয়ে হয় যখন তাদের কাছে বিয়ের অর্থই পরিষ্কার থাকে না। শারীরিক ও মানসিক পূর্ণতাপ্রাপ্তির আগেই বাল্যবিবাহের শিকার হয় বিশেষ করে মেয়েরা। বাল্যবিবাহের খেসারত ছেলেমেয়ে উভয়কে দিতে হলেও মেয়েদের জীবনে এর কুফলের পরিধি ও মাত্রা ভয়াবহ এবং ব্যাপক। বাল্যবিবাহের মধ্য দিয়ে এক ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্দশাগ্রস্ত দাম্পত্য জীবনের দিকে মেয়েশিশু বা কিশোরীকে ঠেলে দেয়া হয়। অল্প বয়সী মায়েরাই বেশি মাতৃমৃত্যুর শিকার হয়। জীবন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ নারী সংসারে নানাভাবে নির্যাতিত হয়। তার শিক্ষা ও দক্ষতা লাভের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। জীবিকার সংগ্রামে পিছিয়ে পড়ে নারী। যৌতুক দেব না, যৌতুক নেব না। দক্ষ শ্রমিক থেকে বঞ্চিত হয় পরিবার-সমাজ-অর্থনীতি। বাল্যবিবাহ নিরোধের জন্য আইন আছে, তাই আমরা সবাই বাল্যবিবাহ নিরোধের জন্য আইনের কাছে যাব, আইন তার সঠিক ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন জোরদার করা প্রয়োজন।
মাদক প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা, পরিমিত জীবন যাপন, বন্ধু নির্বাচন, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি মাদকাসক্তি প্রতিরোধ ও প্রতিকারের পথ। সন্তানের উপর খেয়াল রাখতে হবে যে সে কোন অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছে কিনা, কেমন বন্ধু বান্ধবের সাথে সে মিশছে। এবং সমাজ জোরদার করে কঠোর উদ্যোগ নিয়ে মাদক প্রতিরোধ করতে হবে। ও আমাদের সম্মুখীনে যদি কোন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য সেবন করে তাহলে, আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে ভালো রাস্তায় আনার চেষ্টা করবো, এভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে ইত্যাদি।
২০ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
২ দিন ৮ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৬ দিন ১০ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১০ দিন ২০ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১১ দিন ১৯ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১৮ দিন ৭ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
২২ দিন ৮ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে