ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা কুবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা সহ গ্রেফতার-৩ বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে মাভাবিপ্রবি ভেতরে পরীক্ষা, বাইরে অপেক্ষা আর উৎকণ্ঠা রামগড়ে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ কুবিতে ১২টি কেন্দ্রে একযোগে চলছে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুন্দরবনে করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগী আটক, অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার ঈশ্বরগঞ্জে ওয়াইপিএজির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠ আজ লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের দিন বদলে কাজ করবে : সাবেক এমপি মোশারফ বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সামাজিক ভাবে হেয় ,অন্যায্য ভাবে আল্টিমেটামের তীব্র প্রতিবাদ কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ পালন বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত আনুলিয়ায় একশত পরিবারের

পুতিন শাসনের ইতিহাস

টানা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার একনায়ক হয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দীর্ঘ শাসনামলে রাশিয়ার অনেক কিছুরই সাক্ষী হয়ে আছেন তিনি। নিজেও রচনা করেছেন নতুন নতুন ইতিহাস। রোববার এএফপির এক প্রতিবেদনে পুতিন শাসনামলের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে ধরেছে-ইয়েলতসিনের উত্তরাধিকারী 

১৯৯৯ সালের আগস্টে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন বরিস ইয়েলতসিন। তিনি এফএসবি নিরাপত্তা পরিষেবার (সাবেক কেজিবি) একজন স্বল্পপরিচিত সাবেক প্রধান ভ্লাদিমির পুতিনকে তার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করেন।

পাঁচ মাসেরও কম সময় পর মদ্যপান এবং অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেন ইয়েলতসিন। পদত্যাগের পর পুতিন প্রথমে দায়িত্ব পালন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে। এরপর ২০০০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 
ক্ষমতা গ্রহণের পরই সমালোচনার মুখে 

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের শুরুর দিকেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পুতিন। ২০০০ সালের আগস্টে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন কার্স্ক বারেন্টস সাগরে ১১৮ জন ক্রুসহ ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় পুতিন কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোয় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। 

২০০২ সালের অক্টোবরে চেচেন বিদ্রোহীরা মস্কোতে ৮০০ থিয়েটার দর্শককে জিম্মি করে। এতে নিহত হয় ১৩০ জন। এর দুই বছর পর বন্দুকধারীরা উত্তর ওসেটিয়ার উত্তর ককেশাস প্রজাতন্ত্রের বেসলানের একটি স্কুলে এক হাজারেরও বেশি লোককে জিম্মি করে। নিরাপত্তা বাহিনী ভবনটি আক্রমণ করলে ১৮৬ জন শিশুসহ ৩৩০ জন নিহত হয়। উভয় ঘটনায় উদ্ধারকাজে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

চেচনিয়ায় যুদ্ধ 
উত্তর ককেশাস মুসলিম প্রজাতন্ত্র চেচনিয়ায় ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর পুতিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেন। ২০০০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায়। চেচেন রাজধানী গ্রোজনি সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যায়। 
পুতিনের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা

২০০৪ সালে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর পুতিন তার ক্ষমতা মজবুত করতে প্রচেষ্টা চালান। দেশের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো বাড়িয়ে তোলেন। গণমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। তিনি রাশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মিখাইল খোডোরকভস্কির মতো অলিগার্চদের সরিয়ে দিয়েছেন। খোডোরকভস্কিকে তেল জায়ান্ট ইউকোসের সিইও পদ থেকে অপসারণ ও কর জালিয়াতির অভিযোগে ২০০৫ সালে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ২০০৬ সালে সাংবাদিক ও সরকার সমালোচক আনা পলিটকভস্কায়াকে হত্যা ও লন্ডনে সাবেক রুশ গুপ্তচর আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোর মারাত্মক বিষক্রিয়া বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেয়। 

জর্জিয়ায় হস্তক্ষেপ 
২০০৮ সালের আগস্টে রুশ সেনাবাহিনী সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র জর্জিয়ায় হস্তক্ষেপ করে। দক্ষিণ ওসেটিয়া এবং আবখাজিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোকে শক্তিশালীকরণ ও জর্জিয়ার পশ্চিমপন্থি নেতৃত্বকে দুর্বল করতে যুদ্ধ পরিচালনা করে রাশিয়া। দেশটির সঙ্গে পাঁচ দিনের যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকসহ উভয়পক্ষের শতাধিক নিহত হয়। 

পুতিন ২০১২ সালে আবার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসেন। আবার নির্বাচিত হন ২০১৮ সালে। ২০২০ সালে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ একটি সাংবিধানিক সংস্কার প্যাকেজ পাশ করে। এই সংস্কারের মাধ্যমে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত তাকে ক্ষমতায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। 

কঠোর নিয়ন্ত্রণ
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুতিনের ক্ষমতা গ্রহণের পর ভিন্নমত ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। ২০১৫ সালে পুতিনের সমালোচক সাবেক ডেপুটি প্রিমিয়ার বরিস নেমতসভকে ক্রেমলিনের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ
কিয়েভের ময়দান বিপ্লবে একজন রুশ সমর্থিত নেতাকে উৎখাতের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্ত করে।

সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ
পুতিন সাবেক সোভিয়েত অংশের বাইরেও রুশ আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছেন। ২০১৫ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে সিরিয়ার যুদ্ধে যোগ দেন। 

লিবিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও মালিসহ আফ্রিকার দেশগুলোর সংঘাতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

ইউক্রেনে যুদ্ধ
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। অভিযানে যোগ দেয় পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইয়েভগেনি প্রিগোজিন পরিচালিত ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনী। 

সশস্ত্র বিদ্রোহ
মস্কোর সঙ্গে কয়েক মাসের তিক্ত ক্ষমতার লড়াইয়ের পর প্রিগোজিন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতার পর প্রিগোজিন তার ‘বিদ্রোহ’ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। 

Tag
আরও খবর
বর্ষবরণ | বিথী রহমান

৪ দিন ১২ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে




দৃঢ়ভাবে আগাও - নূরুল ইসলাম নাযীফ

৯ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে


ফিলিস্তিন - শাহীন খান

৯ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে