ইসলামপুরে পরীক্ষা চলাকালে খোলা রাখায় ফটোকপির দোকান সিলগালা, ২ কর্মচারী আটক রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার-৩ বাকৃবি উপাচার্যের সাথে চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ বাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিল মাসুমা লালপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের অভিভাবক সমাবেশ কালিগঞ্জে সেনা অভিযানে ইয়াবা ও মোটরসাইকেলসহ তিন মাদক কারবারি আটক প্রশাসনের অভিযানের পরেও বন্ধ হয়নি অবৈধ ইটভাটা ধামরাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা শুরু দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশাশুনির ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সফর ও সহায়তা প্রদান জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না’ পাল্টা শুল্ক স্থগিত করায় ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ দেশের রাজনীতিতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ১৩ দিন বৃষ্টিপাত-কালবৈশাখী-ঝড়-বজ্রপাতের সতর্কতা রাজবাড়ীতে সড়কে বাস মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংর্ঘষ: মোটর সাইকেল আরোহী আহত। দূর্গম চর কুশাহাটায় আগুনে পোড়া নিঃস্ব পরিবারকে সহয়তায় দিলো উপজেলা প্রশাসন। কৃষিগুচ্ছের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বাকৃবির, আগামী শনিবার সারাদেশে একযোগে পরীক্ষা বাঘায় পরকীয়া সন্দেহে কথা কাটাকাটি তিন ভাইকে কুপিয়ে যখম দক্ষিণ নড়াইল শিমুলিয়া কলেজের নব নির্বাচিত সভাপতি হলেন প্রফেসর মো: ইকবাল হোসেন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

একটি ভোটও পাননি আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ উদ্দিন

জামালপুর জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. হানিফ উদ্দিন। নির্বাচনে তার প্রতীক ছিল তালা। সোমবার (১৭ অক্টোবর) জেলার ইসলামপুরে ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়ামের পৃথক দুইটি বুথে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ১৬৯ ভোটারে মধ্যে মাত্র ২জন ভোটার ছাড়া সবাই ভোট প্রদান করেছেন।  তবে, ভোট গণনার পর ঘোষিত ফলে দেখা যায়, একটি ভোটও পাননি হানিফ উদ্দিন।  এ নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়। সবার প্রশ্ন, তবে কি ইউনিয়নের হানিফ উদ্দিনের নিজের ওয়ার্ডের মেম্বারও ভোট দেননি তাঁকে। তবে ভোট পুনরায় গণনার দাবি, প্রার্থী হানিফ উদ্দিনের।

হানিফ উদ্দিনসহ জেলা পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইসলামপুর উপজেলায় সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭ প্রার্থী। 

হানিফ উদ্দিন ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দুইবার পরাজিত বরণ করেন।

হানিফ উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মজিবুর রহমান শাজাহন অটোরিকশা প্রতীকে ৬৩ ভোট পেয়ে বিজয় হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক সরদার টিউবওয়েল প্রতীকে ৪৮ ভোট 

ওয়ারেজ আলী বৈদ্যুতিক পাকা প্রতীকে ৩৩ ভোট, জিয়াউল উটপাখি প্রতীকে ১ ভোট, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল হাতি প্রতীকে ২৩ ভোট এবং ফারুক ইকবাল হিরু ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে ১ ভোট পান। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতীক পাওয়ার পর বিজয়ী হতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণাও চালান হানিফ উদ্দিন। অন্য প্রার্থীদের মতো দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে প্রতীক ও প্রার্থীর প্রচারণা। পোস্টার লাগানো হয় ওয়ার্ডের সর্বত্রই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। সোমবার ভোট গণনা করে দেখা যায়, হানিফ উদ্দিন একটি ভোটও পাননি।

তাহলে তিনি, তাঁর আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, কর্মী-সমর্থক কেউই কি তাকে ভোট দেয়নি। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনার সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে- প্রার্থীর নিজ ইউপির ওয়ার্ডে মেম্বারের ভোটটি গেলো কোথায়?

প্রার্থী হানিফ উদ্দিন বলেন, 'একটি ভোটও না পাওয়ায় আমি মর্মাহত। অপ্রত্যাশিত এ ফলাফল শোনার পর আমি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গেছি। লজ্জায় বাইরে যেতে মন চায় না। নিজেকে বুঝাতে পারছি না।'

তিনি আরও বলেন, যদি কর্মী-সমর্থকরা আমাকে ধোঁকা দেয় তার পরও আমাকে আত্মীয়-স্বজনরা ভোট দিলে কমপক্ষে ২৫-২০টি ভোট পাওয়ার কথা। সেখানে শূন্য ভোট হয় কীভাবে। আমি এটা মেনে নিতে পাছি না। আমি ভোট পুনর্গণনার দাবি করেছি।'

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন জানান, 'আমরা ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে কোনো আবেদন পায়নি।'

আরও খবর