জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করার পর সাড়ে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার আসামি সেই চার বন্ধুর মধ্যে একজনকেউ গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। কবে নাগাদ আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে, সেটাও অনিশ্চিতই রয়েছে। তবে থানা-পুলিশের দাবি, খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাত ৮টার দিকে ইসলামপুর পৌর শহরের রৌহারকান্দা ব্রিজ এলাকায় বেড়াইতে যায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। একা পেয়ে ওই কিশোরীকে স্থানীয় একটি কাঠের বাগানে ডেকে নিয়ে চার বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে।
ওই ঘটনার তিন দিন পর ২৯ জুন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে গণধর্ষণের দায়ে চারজনের নামোল্লেখে ইসলামপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলো, পৌর শহরের গাওকুড়া দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মামিনুলের ছেলে মাহিন রহমান জুবাই, সোনা আলীর ছেলে বাবু, সুরুজের ছেলে রাকিব এবং ভেঙ্গুড়া সর্দারবাড়ী মোড় এলাকার পিন্টুর ছেলে মাহফুজ। আসামিরা সম্পর্কে একে অপরের বন্ধু। মামলার দায়ের পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসতবাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে রৌহারকান্দা ব্রিজ এলাকায় বেড়াইতে যায় ওই কিশোরী। এসময় আসামি মাহিন রহমান জুবাই বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে পৌর শহরের একটি কাঠের বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি বাবু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বন্ধু রাকিব এবং মাহফুজকে কল করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই আসামি মাহিন ধাক্কা মেরে ওই কিশোরীকে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় ডাক-চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মাহিন। এরপর বাবু, রাকিব এবং মাহফুজ পালাক্রমে ধর্ষণ করে কিশোরীকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ইসলামপুর থানার তদন্ত ওসি এ কে এম মনিরুল ইসলাম বলেন, 'আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা রাখি, খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।'
ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, 'আমি থানায় কিছুদিন হলো যোগদান করেছি। মামলার বিষয়াদি জেনে-শোনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
২ দিন ৯ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
২ দিন ১১ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৫ দিন ৬ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৯ দিন ১২ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
১৪ দিন ৮ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১৭ দিন ৬ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১৮ দিন ৬ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে