জামালপুর আদালতে চেক প্রতারণার একটি মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিচারক। রায় ঘোষণার এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছেনি। ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে
ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা সম্ভব হয়নি থানা-পুলিশের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ওই আসামির। অন্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. খোকন সরকার (৩২)। তিনি জামালপুরের ইসলামপুর পৌর শহরের ভেঙ্গুড়া গ্রামের মো. সোনা মিয়ার ছেলে। গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ইসলামপুর থানা-পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ তাঁকে জামালপুর আদালতে সোপর্দ করেছে।
ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, খোকন সরকারের বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এনআই এ্যাক্টের ধরায় আদাতলে তিনটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর নম্বর হলো ৪৯ (১)২০২৪, ৩৪০(১)২০২৩ এবং ২৫ (১)২০২৫। এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর পৌর শহরের বাসিন্দা সৈয়দ মাসুদুর রহমান রাজা এবং আসামি খোকন সরকার পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করেন। তারা দুইজনই ব্যবসায়ী। ব্যবসার প্রয়োজনে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে মাসুদুর রহমান রাজার কাছে পাঁচ লাখ টাকা হাওলাত নেন খোকন। ওই বছরের ১১ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের ইসলামপুর বাজার শাখার একটি চেকে ৫ লাখ টাকা লিখে রাজাকে দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেন খোকন । কিন্তু রাজা ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন খোকনের হিসাব নম্বরে টাকা নেই। এনিয়ে চেকটি ডিজঅনার করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ২৫ এপ্রিল আইনজীবীর মাধ্যমে খোকনকে টাকা পরিশোধ করতে লিগ্যাল দেন রাজা। লিগ্যাল নোটিশ পেয়েও পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় ২০২৩ সালের ৪ জুন রাজা বাদী হয়ে চেক প্রতারণার ঘটনায় জামালপুরের ইসলামপুর সিআর আমলি আদালতে মামলা করলে শুনানি শেষে আসামি খোকনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমনের আদেশ দেন বিচারক। মামলার নম্বর ১৯২।
ওই বছরের ৬ জুলাই আদালতে থেকে জামিন নেন খোকন। একইদিন বিচারের জন্য মামলটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরন করেন সংশ্লিষ্ট বিচারক। ২১ আগষ্ট বিচার নিষ্পত্তির জন্য যুগ্ম ২য় জেলা জজ আদালতে বিচারক মামলাটি বদলির আদেশ দেন।
২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির না হওয়ায় খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। এরপর খোকন আত্মগোপনে চলে যান।
২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের বিচারক খোকনের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে দায়রা নম্বর ৭২৯/২০২৩ মোকদ্দমায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখ করা অর্থ দণ্ডের আদেশ দেন।
জামালপুর যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের পেশকার
নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমি এই আদালতে কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। যখন মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তখন পেশকার অন্য জন ছিলো। সেকারণেই আমি বিষয়টি জানি না। সাজাপ্রাপ্তা পরোয়ানা দীর্ঘদিনেও থানায় না পৌঁছার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।'
মামলার বাদী সৈয়দ মাসুদুর রহমান রাজা বলেন, '২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিষয় বিচারক আসামি খোকনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুজ্জামান বলেন, 'খোকনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো। আমিসহ কয়েকজন সহকর্মী নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছি।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, 'খোকন সরকার নামে একাধিক মামলার পরোয়াপ্রাপ্ত এক আসামি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত কোনো পরোয়ানা থানায় আসেনি।'
৩ দিন ১১ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৮ দিন ৬ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১১ দিন ৫ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১২ দিন ৫ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১২ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
১২ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
১৫ দিন ১৯ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
১৬ দিন ৯ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে