র্যাব - ৬,ঝিনাইদহ ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়, ধৃত আসামী একজন মানব পাচার চক্রের প্রধান সদস্য। আসামী ও ভিকটিমের একই গ্রামে বাড়ি এবং সেই সুত্রে পরিচিত হওয়ার সুবাদে ভিকটিমকে পাঁচ লক্ষ টাকার সুবাধে মালয়েশিয়া নিয়ে ভালো চাকরির লোভ দেখায়। ভিকটিম গ্রামের কিছু স্বাক্ষীর মাধ্যমে আসামীগনকে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে আসামীগন ভিকটিমকে ০৩ মাসের ভ্রমণ ভিসা দিয়ে ঢাকা হতে মালয়েশিয়া গামী বিমানে পাচার করে দেয়।ভিকটিম মালয়েশিয়া পৌছানোর পর আসামীর মালয়েশিয়া থাকা পরিচিত পাচারকারীগন আসামীকে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে আটকিয়ে নানান ভাবে নির্যাতন করে আরো এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। গ্রামের উপস্থিত স্বাক্ষীগন ভিকটিমের উক্ত ঘটনা জানতে পেরে আসামীগনের বাড়িতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে বিদেশে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামীগন ভিকটিমকে চোখ বেঁধে পথের ধারে রেখে যায়। তখন ভিকটিম বিদেশে অপরিচিত লোকের সহযোগীতায় গত ইং ২২/০২/২০২৪ তারিখে বাংলাদেশে ফিরে আসে। ভিকটিম গ্রামের উপস্থিত স্বাক্ষীদের নিয়ে আসামীদের কাছে পাঁচ লক্ষটাকা ফেরৎ চাহিলে টাকা না দিয়ে হুমকি প্রদান করে। নিরুপায় হয়ে আলোচ্য বিষয়ে নিজে বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় মানব পাচার আইন ২০১২ মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার মানব পাচার মামলার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কাচলাপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তা দুপুর সময় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কাচলাপাড়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মানব পাচার মামলার প্রধান পলাতক আসামী ১। মোঃ ইসলাম (৫৫), পিতা- মৃত আবুল কাশেম, সাং- রামচন্দ্রপুর, থানা- সদর, জেলা- ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৯ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৩ দিন ১৮ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
১০ দিন ১৭ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
১১ দিন ১৯ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
১১ দিন ১৯ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১৫ দিন ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে