ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের সভাপতি, বরুণার পীর শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী বলেছেন, ইসরায়েলি সন্ত্রাসিরা ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে একের পর এক বর্বর হামলা চালিয়ে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের মারা হচ্ছে, বোনদের শহিদ করা হচ্ছে, মাসুম বাচ্চাদের শেষ করা হচ্ছে, বাতাস ওদের কান্নায় ভারি হচ্ছে, জমিন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। এই জালিম ইসরাইলিদের ধ্বংসের জন্য আমরা আল্লাহর কাছে তাদের হিদায় কামনা করে দোয়া করবো, ওদের কপালে হিদায়াত না থাকলে দোয়া করবো যেনো আল্লাহ জালিমদের ধ্বংস করে দেন। পাশাপাশি আমরা জাতিসংঘের কাছে আহবান করবো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করুন এবং ফিলিস্তিন মজলুমানের পাশে দাঁড়ান। আর বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা অনুরোধ করবো ইসরাইলি সকল প্রকার পণ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বয়কট ঘোষণা করতে হবে। আমরা সবাই ইসরাইলি সকল প্রকার পণ্য বর্জন করে ফিলিস্তিনি মজলুমানের পাশে থাকবো।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের উদ্যোগে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এসব বলেন। এসময় আমীরে আঞ্জুমান দেশবাসিকে কুনুতে নাজেলা, দোয়া, ইস্তেগফার পড়ে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য দোয়া করার আহবান জানান।
সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সমাবেশে যোগ দেন মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি মাদ্রাসার কয়েক হাজার ছাত্র-শিক্ষকসহ সাধারণ মুসল্লিরা।
জোহরের নামাজের পর পরই থেকে বরুণা, শেখবাড়িসহ শহরের বিভিন্ন কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশ শুরুর আগেই অনুষ্ঠালস্থলের আশপাশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সমাবেশে জেলার অর্ধশতাধিক শীর্ষ আলেম-উলামা ও বিভিন্ন কওমি মাদরাসার মুহতামিম এবং প্রতিনিধিরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরাইলি বর্বও হামলায় বহু ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। স্পষ্টত ইসরাইল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা করেনি বরং ক্রমবর্ধমান ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। অবিলম্বে এ হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। আমরা ফিলিস্তিন আর এক ফোঁটা রক্তঝরুক সেটা দেখতে চাইনা। বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর নীরবতার সমালোচনা করে বক্তারা আরও বলেন, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। অথচ বিশ্বের শক্তিমান রাষ্ট্রগুলো নীরব, এ কেমন মানবতা! নাকি মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই? ফিলিস্তিন মুসলিম কান্ট্রি বলেই বিশ্ব মোড়লরা চুপ করে আছে। এদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না।
সমাবেশে উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা ‘ ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন-জিন্দাাদ জিন্দাবাদ, আল কুদুস আল কুদুস জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে,’ ‘ নেতানিয়াহুর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ‘ইসলামের শত্রুরা- হুঁশিয়ার সাবধান’; ইত্যাদি ¯স্লোগান দেন।
৭ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে