কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর তুচ্ছ ঘটনার জেরে উপজেলার চরপুমদী এপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে ঢুকে এক পাষণ্ড অভিভাবক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মোয়াজকে মধ্যযোগিয় কায়দায় কিল, ঘুষি ও লাথিসহ বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।এতে ঘটনাস্থলেই ওই ছাত্রের গলা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে তাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত স্কুলছাত্রের পিতা-মাতা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে সুবিচার প্রার্থনার পাশাপাশি হোসেনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
অভিযোগপত্র ও অন্যান্য সূত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চরপুমদী এপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত দুই শিক্ষার্থী খেলা করার সময় হঠাৎ ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি স্কুলের শিক্ষক নাজমা আক্তারসহ অন্যরা তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই শিক্ষার্থীর পাষণ্ড পিতা উপজেলার চরপুমদী গ্রামের মোঃ নুরুল্লাহ (৩৫) শ্রেণীকক্ষে ঢুকে স্কুলছাত্র মোয়াজকে টেনে হেঁচড়ে বের করে মধ্যযুগীয় কায়দায় বারান্দার মেঝেতে ফেলে কিল, ঘুষি, লাতিসহ গলায় পা দিয়ে চাপা দেয়। এতে মোয়াজের গলা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডলকে জানিয়ে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে হোসেনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আইনানুগ বিচারের দাবি জানান তার পিতা উপজেলার রামপুর গ্রামের বাবুল মিয়া।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ্ আলম সেলিম জানান, ঘটনার সময় তিনি উপজেলা অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে হাসপাতালে গিয়ে ছাত্রটিকে দেখেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এভাবে একজন অভিভাবক স্কুলছাত্রকে প্রহার করা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করেন ।
হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান টিটু জানান, স্কুল ছাত্র মোয়াজের পিতা অভিযুক্ত নুরুল্লাহকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।তাই বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল জানান, আহত স্কুলছাত্রের পিতামাতা সাক্ষাৎ করে ন্যায় বিচার চেয়েছেন।সে প্রেক্ষিতে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২ দিন ১১ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৫ দিন ২৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৮ দিন ১৭ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৯ দিন ১৫ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১১ দিন ২১ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
২০ দিন ১৪ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৮ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে