◾মোঃ ফরমান উল্লাহ, ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা: আমার কর্ম দায়িত্ব পালন করতে বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয়। এসব এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন রুচি বা সখের মানুষের সাথ পরিচয় হয়। তাদের সখ বা রুচি ভিন্ন ধরনের।
গত পরশু দিন গিয়েছিলাম সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর সাবেক ধর্মপাশা উপজেলার দক্ষিণ বংশী কুন্ডা ইউনিয়নের হামিদপুর চৌরাস্তা এলাকায়। প্রচন্ড রোদ, মাত্রাতিরক্ত গরম এবং রাস্তার বেহাল দশায় মোটরসাইলের ঝাকুনিতে শরীরে একটু ক্লান্তিভাব চলে আসে।
বিশ্রামের জন্য সাটার বন্ধ থাকা একটি দোকানের সামনে দাঁড়ালাম। দাঁড়াতেই হাতে রেডিও নিয়ে খালী গায়ে ৭০ উর্ধ্ব এক জন এসে জিজ্ঞাস করলেন বাপু আপনার বাড়ি কোথায়। আমি আমার পরিচয় দিলাম। তিনি দোকানের সাটার খুলে বসতে দিলেন। তাঁর নাম আব্দুল হামিদ(ভাসানী)। এলাকার লোকজন তাঁকে ভাসানী বলেই ডাকেন।
পেশায় তিনি কাঠমিস্ত্রী। নিজেই তিনি কাঠের ফার্নিচার তৈরী করে বিক্রি করেন। দোকানের নামকরণ করেছেন স্মার্ট ফার্নিচার। আমি জিজ্ঞাস করলাম তথ্য প্রযুক্তির আধুনিকতায় আপনি এখনও রেডিও শোনেন। তিনি বললেন ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি নিয়মিত রেডিও শোনেন। রেডিও শোনতে তাঁর ভালো লাগে এবং এটার শখও বটে।
কথায় কথা তিনি জানালেন মাঝে মাঝে লেখালেখি ও করেন। তাঁর বাড়িতে একটি মিনি লাইব্রেরী ও আছে। সেখানে তাঁর লেখা বিভিন্ন পান্ডলিপি সংরক্ষিত আছে। আমাকে তাঁর মিনি লাইব্রেরীটি দেখার দাওয়াত দিলেন। সময়ের স্বল্পতার জন্য মিনি লাইব্রেরীটি আমার দেখা হলো না। মিনি লাইব্রেরীটি না দেখার আক্ষেপ আমার রয়েই গেলো।
তিনি জানালেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতে ক্যাম্পে গিয়ে ছিলেন ট্রেনিং নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে। বয়স কম হওয়া ভারতীয় সেনা বাহিনির লোকজন তাকে ঘর মে চলে যা বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন। যুদ্ধে আর অংশ গ্রহণ করা হলো না আব্দুল হামিদের। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে না পারা যে কতটা আক্ষেপের তা আব্দুল হামিদের কথায় বুঝা গেল।
আমি ছবি তুলতে ইচ্ছা পোষণ করলে তিনি কোন প্রকার দ্বিধাদ্বন্ধ না করে রেডিওটি হাতে নিয়ে স্বাছন্দেই রাজি হয়ে গেলেন। আমিও একটি ছবি তুলে নিলাম।
১৩ দিন ১৩ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৩১ দিন ১০ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৩৬ দিন ১৮ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৩৮ দিন ২২ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৫৪ দিন ১৫ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৫৪ দিন ১৫ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৭২ দিন ১৭ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
১০৬ দিন ২১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে