নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় খরা রোদে পুড়ে যাচ্ছে ফসলের খেত। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরা রোদে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খরা কেড়ে নিয়েছে কৃষকের মুখের হাসি। খরার কারণে ফসল উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার কৃষকরা।
এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। বিশেষ করে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে খেতের মরিচ, ভুট্টা,গম,মরিচ,পাটসহ উঠতি রবি ফসল। উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের ঘোপাপাড়া গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, তাদের জমিতে লাগানো ভুট্টাক্ষেত অনাবৃষ্টির কারণে গাছের পাতাগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। কৃত্রিমভাবে এ পানি দিয়ে তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। কেননা প্রাকৃতিক অনুকূল ভালো না হলে কৃত্রিম সেচ দিয়ে কখনো বাম্পার ফলনের আশা করা যায় না। কৃষক একরামুল হক জানান, নদীর চরে লাগানো ভুট্টা খেত টানা খরায় মাটির রস চুষে নেওয়ায় জমি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। এমনকি জমিতে রস না থাকায় ভুট্টার গাছগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। মনে হয় এ বছর ভালো ফলন পাবো না। একই ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি কহিনুর রহমান জানান, অনাবৃষ্টির ফলে ভুট্টার গাছ মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যদি খরা না হয়ে অতিবৃষ্টি হতো তাহলে ফসলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে ভুট্টা খেত মুড়িয়ে (শুকিয়ে) যাচ্ছে। যার ফলে গতবারের তুলনায় এবার ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান জানান, এটা প্রাকৃতিক বিষয়। খরার কারণে খেতের গাছ শুকিয়ে নেতিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানির বিকল্প নেই। খরার কারণে এবার ফলন কম হতে পারে।
১ দিন ২২ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৩ দিন ১০ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৪ দিন ২৩ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৮ দিন ১৮ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৮ দিন ২১ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৯ দিন ১৫ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৯ দিন ১৫ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৯ দিন ১৫ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে