কোম্পানীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক ইশতিয়াক আহমেদ নাটোরে বিএনপি নেতাকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিলো নেতাকর্মীরা কালিগঞ্জে মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত: ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ‘বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সিঙ্গাপুর মডেল অনুসরণ করা প্রয়োজন’ ডোমারে ব্লাড ব্যাংক-জোড়াবাড়ীর পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ রহমতের বৃষ্টি চেয়ে কমলগঞ্জে ইস্তিসকার নামাজ আদায় ডোমারে নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ডোমারে ছাত্রদলের মানববন্ধন ফিলিস্তিনে খুনি ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে গোমস্তাপুরে ছাত্রদলের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ইসরায়েলি নৃশংসতার বিরুদ্ধে কুবিতে ছাত্রদলের প্রতিবাদ সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানের ১১০ কেজি হরিণের মাংস সহ ১ চোরাশিকারী আটক বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ভারতীয় মালামাল জব্দ ফিলিস্তিনে গণহত্যা, নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আশাশুনির কাদাকাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আশাশুনিতে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস পালন হাসিনাকে ফেরানোর বিষয় যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিনিয়োগের এমন অনুকূল পরিবেশ আর হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা ঝিনাইগাতীতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রাজধানীতে ৮ দফা দাবি জানিয়ে কৃষি ডিপ্লেমা শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল বিদায় নিতে মন না চাইলেও বিদায় নিতে হচ্ছে: রাজন কুমার

রাত্রিকালীন অসাড়ে প্রস্রাবের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

মূত্রাশয়ের ছবি




রাত্রিকালীন অসাড়ে প্রস্রাবের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা (Nocturnal Enuresis):

“এনিউরেসিস (Enuresis)” অর্থ “অসাড়ে প্রস্রাব” এবং নক্টার্নাল (Nocturnal)  অর্থ “রাত্রিকালীন।" রাত্রিকালীন অসাড়ে বিছানায় প্রস্রাব হওয়াকে “নক্টার্নাল এনিউরেসিস (Nocturnal Enuresis) বা “নক্টার্নাল ইনকন্টিনেন্সি (Nocturnal Incontinence)” বা “শয্যামূত্র (Bed wetting) "বলে। এটি খুবই সাধারন এবং সচরাচর দৃষ্ট একটি রোগ। অভিভাবকরাও, শিশুর এ সমস্যা নিয়ে খুব উদ্বিঘতায় ভোগেন।

সাধারনত: ৩ থেকে ৪/৫ বছর বয়স পর্যন্ত একজন শিশু বিছানায় প্রস্রাব করে কিন্তু ৫ বছরের পরেও যদি সে বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলে তবে তা নক্টার্নাল এনিউরেসিস বলে চিহ্নিত করা হবে। এ রোগে শিশু এবং বৃদ্ধরা অধিক আক্রান্ত হয়।


© শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগের অন্যতম কারন :

▪. বংশগত কারন। গবেষনায় দেখা গেছে, যে শিশুর পিতা এবং মাতা উভয়েই শৈশবে শয্যামূত্রের রোগী ছিলেন, সে শিশুর আক্রান্ত হওয়ার অধিক ঝুঁকি থাকে।

▪. শৈশবে যথেষ্ট পরিমানে Anti-diuretic hormone (ADH) উৎপাদনের অভাব।

▪. শৈশবে,প্রাপ্তবয়স্কদের মতো, রাত্রিকালীন মূত্রথলীর উপর ততখানি নিয়ন্ত্রন, রপ্ত করার অভাব।

▪. মূত্রতন্ত্রের / মূত্রনালীর প্রদাহ সংক্রান্ত গোলযোগ (Urinary tract infection)।

▪. শিশুদের অভ্যাস আচরনে বাবা-মার নিয়ন্ত্রন না থাকা।

▪. প্রস্রাবের চাপ নিয়ে ঘুমানো।

▪. ঘুমের মধ্যে দমবন্ধভাব, ভীতিকর স্বপ্ন, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি থাকা। 

▪. গুড়ো কৃমি, কোন কোন ক্ষেত্রে কেঁচো ক্রিমি।

▪. ওভার এক্টিভ ব্লাডার (O,A.B)।

▪. কদাচিত জন্মগতভাবে, মূত্রতন্ত্র অথবা স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত এবং ক্রিয়াগত বিকৃতি।

▪. কখনো কখনো Attention deficit hyperactive disorder (ADHD) এর শিশুরা দুষ্টুমি, অলসতা, পরিবারের সদস্যদের শাস্তি প্রদানের উদ্দ্যেশ্যে বিছানায় প্রস্রাব করে।


≫. বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ রোগের অন্যতম কারন - (পুরুষ) :

▪. প্রস্টেটগ্ল্যান্ড এনলার্জ।

▪. ডায়াবেটিস মেলিটাস।


≫. বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ রোগের অন্যতম কারন - (নারী) : 

▪. ডায়াবেটিস মেলিটাস।

▪. জরায়ু নির্গমন।

▪. ফাইব্রয়েড ইউট্রাস।


ভালো এবং যথোপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করাও চিকিৎসার একটি অন্যতম অংশ। আপনি যদি এনিউরেসিসের চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি শিশুর পিতা-মাতাকে নিচের কিছু পরামর্শ প্রদান করেন, তবে শিশুর আরোগ্য আরো ত্বরান্বিত হবে। সুতরাং. অবশ্যই - অবশ্যই,


♦. শিশুর চিকিৎসা শুরুর করার পূর্বে অবশ্যই বাবা-মাকে পরামর্শ দিতে হবে যেন, বিছানায় প্রস্রাবের জন্য শিশুকে কোনরূপ ভৎসনা অথবা বকাঝকা করা না হয়, শিশুকে গালি-গালাজ এবং ভৎসনা করলে প্রথমত: শিশু মানসিক কষ্ট পায়, দ্বিতীয়ত: পরপর কয়েক দিন বকাঝকা করাকে শিশু একটি অতি সাধারন এবং নিত্য-নৈমত্তিক বিষয় ” বলে ধরে নেয়। 


♦. ঘুমাতে যাবার পূর্বে শিশুকে প্রস্রাব করানোর অভ্যাস করাতে হবে। বিছানায় প্রস্রাব যাতে না হয় সে বিষয়ে শিশুকে সচেতন এবং উৎসাহিত করার চেষ্টা করতে হবে, প্রয়োজনে “বিছানায় প্রস্রাব” না করার জন্য শিশুকে ছোট ছোট উপহার দেবার আশ্বাস দিতে হবে এবং যদি শিশুটি কোন রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব না করে তবে অবশ্যই আশ্বাস অনুযায়ী সে উপহার দিতে হবে অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা যাবে না।


♦. শিশুর পরিবারের অন্যান্য ছোট সদস্য, তার খেলার সঙ্গী-সাথী বা স্কুলের সহপাঠীরা যাতে তার এই বিষয়টা কোনক্রমেই জানতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। কারন তার সমবয়সীরা যদি তাকে তার বিছানায় প্রস্রাব করা নিয়ে বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত করে তবে ক্রমেই শিশুটি বিষন্ন এবং মনমরা হয়ে পড়বে, স্কুলে যেতে চাইবে না, সঙ্গিদের সাথে খেলাধুলা বর্জন করে দেবে এবং ধীরে ধীরে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং সামাজিক পরিবেশ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেবে।


পিতামাতা যদি এ শর্ত মানতে রাজি হন তবেই চিকিৎসা শুরু করতে পারেন।


হোমিওপ্যাথিতে শয্যামূত্রের অনেক ঔষধ আছে। সুনির্দিষ্টভাবে কোন ঔষধের নাম বলা যায় না। তবে অনেকে জানতে বলে কিছু ঔষধের উল্ল্যেখ করলাম। তবে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন একটি ঔষধও প্রয়োগ করবেন না দয়া করে।


●. এসিডাম বেঞ্জোয়িকাম : প্রস্রাবে তীব্র ঝাঁঝাঁলো গন্ধ সাথে স্প্যাসিফিক গ্র্যাভিটি কম। ঘুমের মধ্যে একাধিকবার প্রস্রাব।

●. এলো সকো : প্রস্টেটগ্ল্যান্ড বৃদ্ধিজনিত কারনে বৃদ্ধদের অসাড়ে প্রস্রাব।

●. আর্জেন্টাম নাইট : মূত্রথলীর পেশীর সংকোচন ক্ষমতা হ্রাসজনিত কারনে দিন রাত অসাড়ে প্রস্রাব।ভীষন মিষ্টি প্রিয়, কিন্তু মিষ্টি খেলেই বেড়ে যায়।

●. বেলাডোনা : উত্তেজনাপ্রবন, অস্থির শিশুদের শয্যামূত্র। 

●. ক্যাল্কেরিয়া কার্ব : নাদুস-নুদুস শিশুদের অসাড়ে প্রস্রাব। চক, খড়ি, মাটি ইত্যাদি অখাদ্য খেতে চায়। প্রচুর ঘাম, বিশেষত: মাথা বেশী ঘামে।

●. কষ্টিকাম : হাঁচি, কাশি এমনকি নাক ঝাড়লে অসাড়ে প্রস্রাব।

●. সিনা : ক্রিমিজনিত শয্যামূত্র। শিশু নাকে আঙ্গুল ঢোকায়, নোংরা পেটমোটা শিশু। সব সময় খাই-খাই করে। প্রথম ঘুমে বিছানায় প্রস্রাব।

●. ইকুইজেটাম হাইমেল : মূত্রথলীর উপর এ ঔষধ বিশেষভাবে ক্রিয়াশীল। অসাড়ে প্রস্রাবের চমৎকার ঔষধ। রাতে একাধিকবার বিছানায় প্রস্রাব। প্রস্রাবের স্বপ্ন দেখে বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলে। প্রস্রাব ঘোলাটে বর্নের। 

●. ফেরাম ফস : দিনে শয্যামূত্র।

●. কেলিয়াম ব্রোমেটাম : নার্ভস প্রকৃতির শিশুদের শয্যামূত্র।

●. ক্রিয়োজোটাম : রাত্রের প্রথমভাগে বিছানায় প্রস্রাব। স্বপ্ন দেখে কোথাও বেড়াতে গিয়ে প্রস্রাব করছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিছানায় প্রস্রাব করছে। জাগ্রত অবস্থায় থাকাকালে, তীব্র প্রস্রাবের বেগ, দ্রুত মূত্রত্যাগ করতে না গেলে মনে হয় যেন কাপড়েই প্রস্রাব হয়ে যাবে। এ ঔষধ, যারা খুব ঘুমকাতর তাদের শয্যামূত্রে অধিক উপযোগী। পোকায় খাওয়া দাঁত।

●. ল্যাক ক্যান : কিশোর-কিশোরীদের অসাড়ে বিছানায় প্রস্রাব। রোগী টয়লেটে প্রস্রাবের স্বপ্ন দেখে বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলে। 

●. ল্যাকেসিস ৬ : ভীষন চমৎকার একটি ঔষধ। তবে ঘনঘন এবং দীর্ঘদিন প্রয়োগ বিপদজনক। অবশ্যই বিশেষঞ্জের পরামর্শ ছাড়া প্রয়োগ করবেন না।

●. লাইকোপোডিয়াম : রাতে অতিরিক্ত ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ। প্রস্রাবের বেগে রোগী আরামে ঘুমাতে পারে না। শয্যামূত্র, বিশেষত: বৃদ্ধদের।

●. মেডোরিনাম : বংশগত ইতিহাস থাকলে অথবা রোগী বা রোগীর পিতা-মাতার গনোরিয়ার ইতিহাস থাকলে উপযোগী। অনেক বিজ্ঞ চিকিৎসক এ ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন।

●. ম্যাগ্নেসিয়াম ফস : ক্যাথেটারাইজেশনের পর অসাড়ে প্রস্রাব ।

●. প্লান্টাগো মেজ : শয্যামূত্র। প্রচুর পরিমানে প্রস্রাব।

●. সোরিনাম : প্রতি পূর্নিমায় শয্যামূত্র। নির্বাচিত ঔষধে প্রতিক্রিয়া দেখা না দিলে এ ঔষধ প্রয়োগ করা উচিত।

●. পালসেটিলা : যে সকল শান্ত স্বভাবের মেয়ে দিনে এবং রাতে ঘুমালেই বিছানায় প্রস্রাব করে তাদের জন্য অধিক উপযোগী। পিপাসাহীন রোগী।

●. স্যাবাল সেরু : থলথলে বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধিজনিত শয্যামূত্র।

●. সিকেলি কর : মূত্রথলীর মুখের পেশীর দূর্বলতাজনিত অসাড়ে প্রস্রাব । বৃদ্ধাদের শয্যামূত্রে অধিক উপযোগী।

●. সেনেগা : দিনে অথবা রাতে যখনই ঘুমাই তখনই অসাড়ে প্রস্রাব।

●. সিপিয়া : রুগ্ন, দূর্বল মেয়ে, যাদের নিতম্ব অপ্রশস্ত, প্রচুর পরিমানে সাদাস্রাব যায় তাদের প্রথম ঘুমে শয্যামূত্র। প্রস্রাবে ভয়ানক দূ:র্গন্ধ। 

●. সালফার : নোংরা শিশুদের শয্যামূত্র। শরীর দিয়ে র্দূ:গন্ধ বের হয়, গোসল করতে চায় না, শরীরে পোশাক রাখতে চায় না। ভীষন মিষ্টি প্রিয়। 

●. ভার্বসকাম (মূলেন অয়েল) Q : সাধারনত: কান সংক্রান্ত রোগে ঔষধটি ব্যবহার করা হয়, তবে,  দীর্ঘদিনের পুরাতন একাধিক শয্যামূত্রের রোগী এ ঔষধে আরোগ্য হয়েছে এবং “এ ঔষধ কদাচিত ব্যর্থ হয়েছে ”- অনেকেই বলেছেন। আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। 


আবারো বলছি, উল্ল্যেখিত ঔষধ ছাড়াও লক্ষন সদৃশ্যে আরো বহু ঔষধ আছে, এবং শয্যামূত্র স্থায়ীভাবে আরোগ্য হয়।

দয়া করে বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন করুন। একজন খুব দু:খ করে লিখেছেন, “প্রশ্নের উত্তর না দিলে প্রশ্ন করে কি লাভ ?”.... সঙ্গত কথা,... কিন্তু প্রশ্ন যদি বিষয়ভিত্তিক হয় এবং উত্তর যদি সংক্ষেপে দেয়া যায় তবে অবশ্যই দেবো। আপনার প্রশ্ন যদি এমন হয় যে, উত্তরের জন্য আরেকটা পোস্ট লিখতে হবে, তবে তা কমেন্ট বক্সে তো আর সম্ভব না।


আপনারা সকলে ভালো থাকবেন। মহান আল্লাহ পাক যেন রোগীদের আরোগ্য দানের ক্ষমতা এবং নাম-যশ বৃদ্ধি করেন। আমীন।


          প্রয়োজনে নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। 

                    ধন্যবাদান্তেঃ

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের 

ডি.এইচ.এম.এস(বি.এইচ.বি-ঢাকা) 

এইচ.এস.টি;এম.পি.এইচ;এম.ডি(হোমিও)

এম.এসসি(ইঞ্জিঃ);এম.এড;পিএইচ.ডি(শিক্ষা)

রোগীর চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুনঃ

ইউনাইটেড হোমিও হল

চেম্বার : ০১

দোকান নং -০৮, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, ডিবি রোড, সেনবাগ দক্ষিণ বাজার, সেনবাগ, নোয়াখালী।  মোবাইলঃ ০১৭১১-০১১ ৯৩২

চেম্বার : ০২

গোল্ডেন প্লাজায়, দিলদার মার্কেট, কাবিলপুর, সেনবাগ,নোয়াখালী। মোবাইলঃ ০১৭১১-০১১৯৩২

 

আরও খবর