বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দেশজুড়ে ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২২ ৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হলেও এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কুড়িকাহনিয়া সাউথ কুরুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ খেলায় শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করতে না পারায় ক্লাস বর্জন করে স্কুলের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ৩ ঘণ্টাব্যাপি কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। পরে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম মোবাইলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় পৃষ্টপোষকতা আশ্বাস দিলে তারা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন। ঘটনা অনুসন্ধানে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কুড়িকাহনিয়া সাউথ কুরুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল মাঠ না থাকায় কোন ধরনের খেলাধুলা করতে পারেনা। ছোট্ট একটি মাঠ, তার উপর আবার অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতায়াতের জন্য পাকা রাস্তা। তবে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ভ্যানু কুরুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে হওয়ার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের এই ব্যাপারটি না জানিয়ে চেপে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা খেলা থেকে বঞ্চিত হয়ে খেলাধুলায় অংশগ্রহণের দাবিতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্র সাগর হোসেন বলেন, আমরা খেলতে চাইলেও আমাদের কে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদেরকে বিষয়টি গোপন করে আমাদের খেলায় অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। এমনিতেই আমাদের মাঠ নেই, এবার যেহেতু অন্য মাঠে খেলা হচ্ছে এবার কেন আমাদের খেলার ব্যবস্থা করা হলোনা ? আরেক ছাত্র সোহাগ মিয়া বলেন, আমাদের স্কুলের খেলাধুলা করার জন্য কোন সরঞ্জামাদি নেই। নেই খেলার মাঠ। আমাদেরকে সরঞ্জামাদি দিয়ে খেলার ব্যবস্থা করা হোক। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রহুল আমিন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমি প্রধান শিক্ষকদের মিটিং এ ডেকে জানিয়ে দিয়েছি, কিন্তু কুড়িকাহনিয়া হাইস্কুল অংশগ্রহণ করেনি। এছাড়াও তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় অগ্রহ তৈরিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনাগ্রহের কথা স্বীকার করেন। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদকে একাধিক বার ফোন করলে সে ফোন ধরেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের অবহেলায় কোমলমতি শিশুরা পড়াশুনার পাশাপাশি সহশিক্ষা ও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হবে এটা দুঃখজনক। আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের সাথে ফোনে কথা বলে ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছি এবং ছাত্রদের খেলাধুলার পৃষ্টপোষকতার আশ্বাস দেয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
১১ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
২১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১ দিন ৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
২ দিন ৭ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৪ দিন ১৮ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৫ দিন ২১ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে