শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া মন্ডলপাড়া গ্রামে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সিজ্জিতুল মনির মাসুম। প্রথমে ছোট পরিসরে ২৫ শতাংশ পুকুরে মাছ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তিনি পাঁচ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে পরিবারে স্বচ্ছলতা এনেছেন। মাসুম এর বাবার মৃত্যর পর মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০০ সাল থেকে গ্রামের একটি পুকুরে তিনি পাংগাস, তেলাপিয়া, শিং, পাবদা ও রুই দেশী জাতীয় মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি। পরের বছর গ্রামের আরও দুটি পুকুরে মাছ চাষের বিস্তৃতি বাড়ান। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মাসুমকে। বর্তমানে তিনি এলাকার ৫ একর জমিতে পাংগাস, তেলাপিয়া, শিং, পাবদা ও রুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন। আরও জানা গেছে, মাছ চাষের পাশাপাশি তার মৎস্য খামারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে ১৫ জন নারী-পুরুষের। এছাড়াও তিনি মৎস্য চাষের পাশাপাশি পুকুর ও মৎস্য ঘেরের চারপাশে কৃষি আবাদ হিসেবে মরিচ, বেগুন, কলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করেছেন এবং তার বাড়ীর পার্শ্বে ছোট খাটো একটি গরুর ফার্ম রয়েছে। এতে তিনি কৃষি উৎপাদন ও গরুর ফার্ম থেকে বার্ষিক আয় করে থাকেন। ২১ বছরের সংগ্রামী জীবনে মাসুমের সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই এখন আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মাছ চাষে। মাছ চাষের বিষয়ে সিজ্জিতুল মনির মাসুম বলেন, ‘মাছ চাষ করে আমি সফল। জেলেরা যখন পুকুর থেকে মাছ ধরে তখন আমি আনন্দিত হই। এলাকায় আমি বিভিন্ন লোককে মৎস্য চাষের পরামর্শ প্রদান করেছি। এখন মাছ কেনার জন্য অনেক মৎস্য ব্যসায়ীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সরকারি কর্মকর্তারাও আমার খোঁজ খবর নেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমি নিজেদের ও লিজ নিয়ে ৫টি পুকুরে মাছ চাষ করছি। বেকার যুবকরা মাছ চাষে উদ্যোগী হলে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে।’ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সিজ্জিতুল মনির মাসুম মাছ চাষের ওপর যে কাজ করছেন তা মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে দৃষ্টান্ত। এছাড়াও মাসুমকে উপজেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। সিজ্জিতুল মনির মাসুম সফল মৎস্য চাষী হিসেবে জেলা পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্তও হয়েছিলেন।’
১১ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
২১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১ দিন ৭ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
২ দিন ৭ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৪ দিন ১৮ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৫ দিন ২১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে