"নলছিটি পাবলিক লাইব্রেরিতে বাংলা নববর্ষে সাংস্কৃতিক প্রতিভার উন্মেষ" কুবি'র 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু সাংবাদিকের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন শ্রীমঙ্গলে 'কিডস ইংলিশ জোন' এর শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তজুমদ্দিনে ফিলিস্তিনের পক্ষে গণজোয়ার। জয়পুরহাটে মার্শাল আর্ট কারাতে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও বেল্ট বিতরণ ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা কুবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা সহ গ্রেফতার-৩ বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে মাভাবিপ্রবি ভেতরে পরীক্ষা, বাইরে অপেক্ষা আর উৎকণ্ঠা রামগড়ে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ কুবিতে ১২টি কেন্দ্রে একযোগে চলছে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুন্দরবনে করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগী আটক, অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার ঈশ্বরগঞ্জে ওয়াইপিএজির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠ আজ লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কুবির মিডিয়া ল্যাবে সরঞ্জাম নেই, তবু পরিশোধ পুরো বিল

বি এম ফয়সাল, কুবি প্রতিনিধি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিডিয়া ল্যাবের সরঞ্জাম না থাকা সত্ত্বেও পুরো বিল পরিশোধের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের মধ্যে নানা মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।


জানা গেছে, ২০২৩ সালে ‘ফুয়ানা ইনফো টেক লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে মোট ২৯টি সরঞ্জাম কেনা হয়। তবে ল্যাবের কাজ শুরুর সময় দেখা যায়, দুটি ট্রাইপড ও একটি ভিডিও এডিটিং পিসির ক্যাবল অনুপস্থিত। এসব সরঞ্জামের মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের রিসিভ কপিতে সব মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ার স্বাক্ষর থাকলেও বাস্তবে এসব সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ল্যাব স্থাপন কমিটির সদস্য এ এম এম সাইদুর রসিদ জানান, ট্রাইপড না পাওয়ার বিষয়টি কমিটির আহ্বায়ককে জানানো হয়েছিল এবং তার সম্মতিতেই রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। কমিটির তৎকালীন আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, তিনি দায়িত্ব ছাড়ার আগে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমি এখন বাধ্যতামূলক ছুটিতে রয়েছি। ডকুমেন্টস না দেখে মন্তব্য করতে পারছি না।" তবে বিভাগের পক্ষ থেকে কোম্পানিকে জানানো হলেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।



অন্যদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান দাবি করেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় সব সরঞ্জাম বুঝে পাননি। ফুয়ানা ইনফোর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “আমরা তিনবার মাল ডেলিভারি দিয়েছি এবং প্রতিবারই যাচাই করে দিয়েছি। তবে আবারও কাগজপত্র দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করব।” বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “এটি বিভাগের জন্য একটি বড় ক্ষতি। যদি বিভাগ লিখিত অভিযোগ দেয়, প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।” ঘটনার গভীরে তদন্ত না হওয়ায় এখনো প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ধরনের অনিয়মের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও খবর