ইসলামপুরে পরীক্ষা চলাকালে খোলা রাখায় ফটোকপির দোকান সিলগালা, ২ কর্মচারী আটক রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার-৩ বাকৃবি উপাচার্যের সাথে চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ বাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিল মাসুমা লালপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের অভিভাবক সমাবেশ কালিগঞ্জে সেনা অভিযানে ইয়াবা ও মোটরসাইকেলসহ তিন মাদক কারবারি আটক প্রশাসনের অভিযানের পরেও বন্ধ হয়নি অবৈধ ইটভাটা ধামরাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা শুরু দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশাশুনির ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সফর ও সহায়তা প্রদান জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না’ পাল্টা শুল্ক স্থগিত করায় ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ দেশের রাজনীতিতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ১৩ দিন বৃষ্টিপাত-কালবৈশাখী-ঝড়-বজ্রপাতের সতর্কতা রাজবাড়ীতে সড়কে বাস মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংর্ঘষ: মোটর সাইকেল আরোহী আহত। দূর্গম চর কুশাহাটায় আগুনে পোড়া নিঃস্ব পরিবারকে সহয়তায় দিলো উপজেলা প্রশাসন। কৃষিগুচ্ছের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বাকৃবির, আগামী শনিবার সারাদেশে একযোগে পরীক্ষা বাঘায় পরকীয়া সন্দেহে কথা কাটাকাটি তিন ভাইকে কুপিয়ে যখম দক্ষিণ নড়াইল শিমুলিয়া কলেজের নব নির্বাচিত সভাপতি হলেন প্রফেসর মো: ইকবাল হোসেন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কলাম : দুঃখ নিয়ে বিশ্ব কবি রবি ঠাকুরের মতবাদ

দুঃখ কাকে বলে এর প্রায় সবই কবিগুরু পেয়েছিলেন এক জীবনে। স্ত্রী মারা গেলেন কবির ৪১ বছর বয়সে। কবির ছিলো তিন মেয়ে, দুই ছেলে। রথীন্দ্রনাথ, শমীন্দ্রনাথ আর বেলা, রাণী ও অতশী।


স্ত্রী'র পর অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন রাণী। এরপর কলেরায় মারা গেলো ছোট ছেলে শমী। পুত্রশোকে কবি লেখলেন-


"আজ জোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে।"


কবি'র মনে হলো এই জোৎস্নায় কবি বনে গেলে হবে না। বরং তাঁকে জেগে থাকতে হবে, যদি বাবার কথা মনে পড়ে শমী'র! যদি এসে কবিকে না পায়? তিনি লেখলেন-


"আমারে যে জাগতে হবে, কী জানি সে আসবে কবে


যদি আমায় পড়ে তাহার মনে।'


রাণীর জামাইকে পাঠিয়েছিলেন কবি বিলেতে ডাক্তারী পড়তে, না পড়েই ফেরত আসলো। বড় মেয়ের জামাইকে পাঠিয়েছিলেন বিলেতে, ব্যারিস্টারী পড়তে, না পড়েই ফেরেত আসলো। ছোট মেয়ে অতশীর জামাইকেও আমেরিকায় কৃষিবিদ্যার উপর পড়াশোনা করতে। লোভী এই লোক কবিকে বার বার টাকা চেয়ে চিঠি দিতো। কবি লেখলেন-


"জমিদারী থেকে যে টাকা পাই, সবটাই তোমাকে পাঠাই।"


দেশে ফেরার কিছুদিন পর ছোট মেয়েটাও মারা গেলো।


সবচাইতে কষ্টের মৃত্যু হয় বড় মেয়ের। বড় জামাই বিলেত থেকে ফেরার পর ছোট জামাইর সাথে ঝগড়া লেগে কবির বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। মেয়ে বেলা হয়ে পড়েন অসুস্থ। অসুস্থ এই মেয়েকে দেখতে কবিগুরু প্রতিদিন গাড়ী করে মেয়ের বাড়ী যেতেন। কবিকে যত রকম অপমান করার এই জামাই করতেন। কবির সামনে টেবিলে পা তুলে সিগারেট খেতেন। তবু কবি প্রতিদিনই যেতেন মেয়েকে দেখতে। একদিন কবি যাচ্ছেন, মাঝপথেই শুনলেন বেলা মারা গেছে। কবি শেষ দেখা দেখতে আর গেলেন না। মাঝপথ থেকেই ফেরত চলে আসলেন। হৈমন্তীর গল্প যেন কবির মেয়েরই গল্প!


শোক কতটা গভীর হলে কবির কলম দিয়ে বের হলো -


"আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।


তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে॥"


কবির মৃত্যু হলো অতিমাত্রায় কষ্ট সহ্য করে, প্রশ্রাবের প্রদাহে। কী কারনে যেন কবির বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথের কাছ থেকে শেষ বিদায়টাও পাননি। দূর সম্পর্কের এক নাতনি ছিলো কবির শেষ বিদায়ের ক্ষণে।


কবি জমিদার ছিলেন এইসব গল্প সবাই জানে। কবি'র দুঃখের এই জীবনের কথা ক'জন জানেন?


প্রথম যৌবনে যে গান লেখলেন, এইটাই যেন কবির শেষ জীবনে সত্যি হয়ে গেলো-


"আমিই শুধু রইনু বাকি।


যা ছিল তা গেল চলে, রইল যা তা কেবল ফাঁকি॥"


লেখক: প্রণব মণ্ডল, শিক্ষার্থী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও খবর




একদিন মায়ের শাসন ও ফুরিয়ে যাবে

৩৬ দিন ১২ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে