সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা জুলাইয়ে বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে কাটুক সেরা সময়টা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বিএনপি : আসিফ নজরুল ঈশ্বরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসন কল্পে বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবীতে মানববন্ধন নালিতাবাড়ীর রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর মরিচপুরান ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় জরাজীর্ণ সড়ক সংস্কারের দাবীতে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় শিক্ষাপদক বাছাই প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত নালিতাবাড়ীতে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক ফোকাল পার্সনদের দুর্নীতি ও এর প্রতিরোধ এবং তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বরিশালে ছয় দফা দাবীতে শিক্ষার্থীদের মহা সড়ক অবরোধ। বগুড়ায় ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ উলিপুরে সিএনবি প্রকল্পের আয়োজনে ব্যবসা শুরু ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে বালুভর্তি ট্রাকের ধাক্কা নিহত ২ দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে বালুভর্তি ট্রাকের ধাক্কা নিহত ২ মাই টিভি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জয়পুরহাটে এতিমখানায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল নাগরপুরে কৃষি ব্যাংক রেমিট্যান্স লটারির মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ দখল: সমাধান করতে গেলে উল্টো চাঁদাবাজির অভিযোগ 'হৃদয়ে ডোমার'-এর ১৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত মাগুরার শ্রীপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় সাবেক স্ত্রীর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সৌদি প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন

একজন জনপ্রিয় অধ্যাপক এবং আদর্শ বাবার শেষ পরিণতি

 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে সবার বড়, নাম রেজিনা ইয়াছমিন আমেরিকা প্রবাসী। 

বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ইফতেখার হাসান। ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। জীবনে এত কিছু থাকার পরও তার দু’চোখে অন্ধকার। থাকেন আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে।

দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন সুনামের সঙ্গে। ২০০৬ সালে অবসর নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অব.) ড. এম আব্দুল আউয়াল (৭০)। অবসরের পর কিছুদিন ভালোই চলছিল তার। অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের সংসারে দুই ছেলে, এক মেয়ে।

আব্দুল আউয়াল জানান, শিক্ষকতার আগে ১৯৬৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেন এরপর শিক্ষকতা। জীবনে অনেক টাকা-পয়সা উপার্জন করেছি। 


২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। এরপর ছেলে-মেয়েরা আমার খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়।


কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজের ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়া পল্লবীতেও বেশ কিছু জমি ছিল। কিন্তু এসব বড় ছেলে কৌশলে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন, আক্ষেপ করেই বলেন অধ্যাপক আউয়াল।

তিনি বলেন, ওরা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেন। আমাকে নিয়ে এতো ছলচাতুরি করে কেন? বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠেন অধ্যাপক। তিনি বলেন, আমি কি এই জন্য এতো কষ্ট করে ওদের মানুষ করেছিলাম?

অধ্যাপক আউয়াল বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছু দিন বড় ছেলের সঙ্গেই থাকতাম। ছেলের সংসারে থাকার সময় জানতে পারি ছেলে ও বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একদিন বাসায় থাকা অবস্থায় বউয়ের মুখে গা*লি শুনে বাসা থেকে নেমে আসি। আর ফিরে যাইনি। ওরাও কেউ খোঁজ নেয়নি। 

ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসে ২০১৪ সালে। এসে মিরপুর-১ নম্বরে একটি দোকানে আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে। সেখানে গেলে আমাকে জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি ওর বাবা অথচ আমাকে জানালও না যে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করে আবার চলে যাবে, একথা শুনে ছেলের বউকে দেখতে চান তিনি। কিন্তু তার সাথে দেখা করা যাবে না বলে জানায় ছেলে।

এ অধ্যাপক আফসোসের সুরে বলছিলেন, অথচ এই ছেলের পড়ালেখার জন্যও পেনশনের টাকা থেকে ২৬ লাখ পাঠিয়েছি। সেই ছেলেও আমাকে কোনো দিন ফোন করে না। মাঝে মাঝে ইমেইলে চিঠি লেখে।

🇯🇵অতি উচ্চ শিক্ষিত হতে গিয়ে আমরা দিন দিন আরও অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। অথচ অনেক গরিব, মূর্খ আছে যারা বাবা মাকে নিয়েই একসাথে থাকে। 

তাহলে তারা কি আমাদের মতো মুখোশধারী শিক্ষিতের চেয়ে ভালো নয়? তাই উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ববোধটাও সবার শিক্ষাগ্রহন করা উচিৎ

লেখক : প্রণব মন্ডল, কবি এবং সাহিত্যিক।

Tag
আরও খবর