ব্যপারটা হচ্ছে এমন;
নিজেকে কারো কাছে ‘Available' করাটা বাদ দিয়ে দাও,তুমি ভালো থাকবে।যখনই নিজেকে কারো কাছে সহজলভ্য করে দিবে,ঠিক তখনই তোমাকে অবহেলা করা শুরু করে দিবে!
সে ডাকলে তুমি সাড়া দাও,তার একাকিত্বে তুমি তাকে সঙ্গ দাও।যত ব্যস্তই থাকো না কেন,তার প্রতিটা মেসেজের উত্তর তুমি খুব ফাস্ট রিপ্লাই করো। মোট কথা,তোমায় সে চাইলেই পাচ্ছে যখন তার প্রয়োজন হচ্ছে।এরপর দেখবে, সে তোমার একটা মারাত্মক অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে!তার প্রতি তোমার আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে।তারপর তুমি দিনদিন তার প্রতি তীব্র ভাবে আসক্ত হয়ে যাবে!আর ঠিক তখনই বাঁধবে বিপত্তি!
দেখবেঃ
তোমার খারাপ লাগা মূহুর্তে সে নেই!তার সময়ের বড্ড অভাব তোমার বেলায়,তোমার ভীষণ একা লাগতেছে কিন্তু তুমি তাকে বলতে পারছো না–বুঝাতে পারছো না!সে তোমার কাছে নিজেকে Available করেনি বলেই তুমি তাকে নিজ প্রয়োজনে পাবে না।
তুমি তার বেলায় Available,কিন্তু সে তোমার বেলায় Available না!ব্যপারটা ঠিক কেমন হয়ে গেলো না?
যে মানুষটা তোমাকে প্রায়োরেটি দেয়,সেই মানুষটাকে তুমিও প্রায়োরিটি দাও।যে মানুষটা তোমার জন্য Available,তার কাছেই নিজেকে Available করে দাও।পরস্পর পরস্পরকে যখনই চাচ্ছো,পেয়ে যাচ্ছো।
দেখবে,জীবন থেকে একাকিত্ব,বিষন্নতা সব দূর হয়ে যাবে।মন ভালো থাকবে,সেই সাথে সম্পর্কও মধুর হবে।
কিন্তু যে মানুষটা নিজের দিকটা সামলে রেখে নিজেকে Available করে দেয়নি,বরং তুমি তার জন্য Available হয়ে গেছো,সেই মানুষটা তোমাকে শুধু যন্ত্রণাই দিবে!অভিযোগ করতে পারবে না,পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে তোমাকে খুব সুনিপুণ ভাবে বুঝিয়ে দিবে।অথচ তুমি তোমার মনটাকে বুঝাবো কি করে?উত্তর আছে?
You Must to be available for this person,who wanted you badly & Who also available for you.
যাকে তুমি তোমার প্রয়োজনে,খারাপ লাগা মূহুর্তে পাচ্ছোই না,তার সাথে ভালো থাকা?প্রশ্নই আসে না।
ভালোবাসা মানেই শুধু নিজে ভালো থাকা নয়,অপর পাশের মানুষটাও ভালো আছে কিনা;তা নিয়েও ভাবতে হয়।যে মানুষটা নিজেকে তোমার জন্য Available করে দিয়েছি,নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে,তার কাছে নিজেকে ছেড়ে দাও।ভালো থাকবে।
আর যে মানুষটা নিজের দিকটা সামলে রেখে তোমায় দূরে সরিয়ে রাখে,তার কাছে Available হওয়াটা বাদ দিয়ে দাও।তার মতো তোমার সময়েরও মূল্য আছে,এই ব্যস্তময় পৃথিবীতে নিজের মূল্যবান 'সময়' ভুল মানুষের পিছনে ব্যয় না করে, সঠিক মানুষের পিছনেই ব্যয় করো।
নিজের Weight নিজেকেই ধরে রাখতে হয়।আর এটা ইগো নয়,এটা তোমার আত্মসম্মানবোধ।যার কাছে তোমার অনুভূতির কোনো ছিটেফোঁটারও মূল্য নেই,তার কাছে নিজেকে উজাড় করে দেয়াটাই হচ্ছে;তোমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা এবং বোকামি।
লেখক : প্রণব মন্ডল, কবি এবং শিক্ষার্থী।
৩ দিন ২০ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৪ দিন ২১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৮ দিন ২০ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩৯ দিন ২৩ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৪১ দিন ২০ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৪৩ দিন ২০ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৪৩ দিন ২০ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৪৬ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে