পৃথিবীর জাগতিক সৌন্দর্য আমায় কখনো বিমোহিত করতে পারেনি। কতশত ললনার হাসির কাছে পরাজিত যুবকের আঁখি যুগল। অথচ আমায় কোনো ললনা তার রূপের মোহে আদৌ আটকাতে পারেনি।
ঊনত্রিশ বসন্ত পার করে এসে যবে ত্রিশে পা দিলাম, তখন ঊনবিংশের ললনার মতো হুট করে এসে হৃদয়ে প্রেমের খরা কাটিয়ে মনে বসন্তের আনাগোনা। আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি।
কী আছে তোমার মাঝে? কেন এমন উতলা করে দিলে মন?
কই? আমি তো কখনো নারীর প্রেমে পড়িনি। তবে তোমার শাড়ির প্রেমে পড়ে কেন হৃদয়ে এমন বসন্তের আনাগোনা? তোমার গাঢ় কাজল চোখে তাকিয়ে আমি পৃথিবীর জাগতিক সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করে যাই অবলীলায়।
তোমার উদ্যম খোলা পিঠের ভাঁজে তাকিয়ে আমি কবি আর কাঙ্গাল হয়ে এ ঠোঁট যুগল দিয়ে হাজার খানেক কবিতা লেখার প্রয়াসে বারবার বৃথা চেষ্টা অব্যাহত রাখি। ত্রিশে পা দিয়ে আমি প্রেমে পড়লুম।
যৌবনের তারুণ্যে উদ্ধৃত হয়ে আমি তোমাতে ডুবে ম*রি!তোমার এলো চুলের সুবাসে আমি নেশাগ্রস্ত বেসামাল! আমি তো এমন ছিলাম না, আমি তো এমন নই। তবে কেন হৃদয়ে উথাল পাথাল ঢেউ আছড়ে পড়ে বুকের বা পাশ ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়?
আমি তো এমন নই পাখি, এমন তো ছিলাম না কখনোই।
তোমার হৃদ সাগরে হাবুডুবু খেয়ে সাঁতার না জানা নির্বোধ আমি তোমার প্রেম কলঙ্ক গায়ে মাখি। শুধু তোমার প্রেমে আমি হয়ে উঠি, দুঃসাহসিক বন্য ঘোড়া।
ঊনত্রিশ বসন্ত কোনো ললনার মায়ায় না আটকে, আমি শুধু তোমাতে আটকে রই। তোমার দেয়া কলঙ্কই যে আমার অলঙ্কার। আমি সেই তোমার প্রেমে অবুঝ, সহজ-সরল, নির্বোধ, বোকা প্রেমিক থেকে হয়ে যাই বন্য– হিং*স্র, আর চতুর প্রেমিক।
লেখক : প্রণব মন্ডল, কবি এবং শিক্ষার্থী।
৬ দিন ১৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৭ দিন ১৪ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১১ দিন ১২ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৪২ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৪৪ দিন ১২ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৪৬ দিন ১২ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৪৬ দিন ১২ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৪৯ দিন ১১ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে