অতিরিক্ত চাহিদাসম্পন্ন মানুষের সঙ্গীর চাহিদা তুলনামূলক ভাবে খুবই কম থাকে! যদি মানুষটা রসিক স্বভাবের হয়, তবে সঙ্গী হয় বেরসিক কিংবা গম্ভীর স্বভাবের।
শারীরিক চাহিদা কিংবা মনস্তাত্ত্বিক চাহিদাসম্পন্ন মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার সঙ্গীর দিক থেকে অপরিপূর্ণ থাকে! যা আমৃ*ত্যু একটা মানুষকে ভোগায়! মানুষ মূলত নিজেকে অসুখী মনে করে যখন তার সঙ্গীর দিক থেকে চাহিদা পূরণ হয় না।
একটা মানুষের যখন শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা পূরণ হয়, তখন সে নিজেকে সুখী মনে করে। কখনো কখনো সঙ্গীর মনের আর শরীরের দিকে নজর দেয়াটা জরুরী। সঙ্গীর থেকে সে আসলে কি চায়– কি আশা করে, এটা যদি সঙ্গী বুঝতে না পারে কিংবা সবটা বুঝেও না বোঝার ভান করে, তবে সেই মানুষটা হতাশাগ্রস্ত হবেই!
চাহিদার দিক থেকে একটা মানুষের সাথে অপর একটা মানুষের মিল নাই থাকতে পারে। কিন্তু সেই অমিল যদি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তবে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়াটা বড্ড কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
মানুষ যখন শারীরিক দিক থেকে Unsatisfied থাকে, তখন সে মনের খুদায় ভোগে! আর যখন মনের খুদা মিটাতে না পারে, তখন সে যন্ত্রণা পেতে থাকে।
মনের খুদা এবং শরীরের খুদা, এ দুটো জিনিস যখন মানুষ মিটাতে পারে না, তখন সে হয় যন্ত্র মানব! হতাশা, কোনো কিছু ভালো না লাগা, অনুভূতির অবক্ষয়, মন খারাপ আর বিষন্নতায় ভুগতে থাকে!
দাম্পত্য জীবনে সেই সবচেয়ে ভালো মানুষ, যে তার সঙ্গীর মনের এবং শরীরের চাহিদার দিকে নজর রাখে। একসাথে দুটো পূরণ করতে হিমসিম খেলেও যদি একটা চাহিদা পূরণ করতে পারে, তবুও তাকে ভালো সঙ্গী বলা যায়। আর যে দুটোর একটাও পূরণ করতে পারে না কিংবা পূরণ করে না, তার মতো স্বার্থপর কিংবা উদাসীন মানুষের সাথে সংসার করা কিংবা একই ছাদের নিচে থাকাটাই বড্ড কঠিন হয়ে দাঁড়ায়!
লেখক : প্রণব মন্ডল, কবি এবং কলামিস্ট
১ দিন ১২ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৩২ দিন ১৫ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৩৪ দিন ১২ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৩৬ দিন ১২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৩৬ দিন ১২ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৩৯ দিন ১০ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৪৪ দিন ১৩ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৫১ দিন ১৪ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে