বাহারের শূন্যতায় নোয়াখালীর সংবাদপত্র বিপণন ব্যাহত
রিপন মজুমদার নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালী শহরের সৎ, মিষ্টভাষী সংবাদপত্র বিপণনকর্মী বাহার মিয়া (৪৬) ফুসফুসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম এখলাশপুর গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ শেষে বাহারের মরদেহ নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়। এরআগে শনিবার রাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়ে রোববার বিকাল ৩টার বাহার মারা যায়।
সংবাদপত্র বিপণনকর্মী বাহার মিয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম এখলাশপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে’সহ অসংখ্য গুণগগাহী রেখে যান। বাহার মিয়ার জানাজার নামাজে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, জেলা শহরের পরিচিত ব্যক্তি সংবাদপত্র বিপণনকর্মী বাহার ছিলেন একজন সৎ ও হাস্যজ্জল ব্যক্তি। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে আবার কনকনে শীতে এক বুক পত্রিকা জড়িয়ে শহরের প্রত্যেকটি সরকারি-বেসরকারি অফিস, সাংবাদিক, প্রেসক্লাব, রাজনীতিক কার্যালয়সহ পাঠকদের কাছে নিয়মিত পত্রিকা পৌঁছে দিতেন তিনি। গত ২৭ এপ্রিল তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাহারের শূন্যতায় সংবাদপত্র বিপণন ব্যাহত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, গত ০১ মে থেকে মাইজদী বাজার মূলধারা এন্টারপ্রাইজও অন্যত্ব বিক্রি করে দেওয়া হয়। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলা শহরের সাংবাদিক ও পত্রিকার পাঠকরা।
চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক সুমন ভৌমিক জানান, সংবাদপত্র বিপণনকর্মী বাহার মিয়া অত্যন্ত মিষ্টভাষী, হাসি-খুশি, ন¤্র-ভদ্র মানুষ ছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল তিনি হঠাৎ প্রচন্ড কাশি নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরিক্ষায় তাঁর শরীরে ক্যান্সারের জীবানু ধরা পড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে গেলে রোববার বিকালে তিনি সেখানে মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক, পত্রিকার গ্রাহকসহ সর্ব মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
২ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
২ দিন ১ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৩ দিন ১১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৬ দিন ৮ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৬ দিন ৮ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৭ দিন ১২ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৭ দিন ১২ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে