ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা কুবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজা সহ গ্রেফতার-৩ বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে মাভাবিপ্রবি ভেতরে পরীক্ষা, বাইরে অপেক্ষা আর উৎকণ্ঠা রামগড়ে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ কুবিতে ১২টি কেন্দ্রে একযোগে চলছে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুন্দরবনে করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগী আটক, অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার ঈশ্বরগঞ্জে ওয়াইপিএজির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠ আজ লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের দিন বদলে কাজ করবে : সাবেক এমপি মোশারফ বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সামাজিক ভাবে হেয় ,অন্যায্য ভাবে আল্টিমেটামের তীব্র প্রতিবাদ কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ পালন বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত আনুলিয়ায় একশত পরিবারের

লাল টগবগে জাম ও রিমন

লাল টগবগে জাম ও রিমন

সায়েন্স ফিকশন 

লাল টগবগে জাম ও রিমন 

ইমরানুল হাসান 


রিমন একটা ভলো টাইপের ভদ্র ছেলে।এলাকার সবাই থাকে খুব ভালোবাসে,সে ও সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সারা দিন সে ভালো ভালো কাজ করে।একদিন সে ইকামতে দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্য সে আসরের পরে বের হয়েছিল। হঠাৎ তার চোখে পড়লো কয়েকটা লাল টগবগে জাম।যা একই সঙ্গে দেখতে খুবই চমৎকার। রিমন কিছুক্ষণ সেই জাম গুলোর দিকে থাকিয়ে রইল। তখনই সে দেখতে পেল এর মধ্যে একটা খুবই অদ্ভুদ জাম। হঠাৎ জামটি হালকা নাড়া দিলো।জামটি হঠাৎ নড়তে নড়তে বড় হতে লাগলো একসময় এটি জাহাজ আকৃতি ধারণ করল।রিমন কিছুটা ঘাবড়ে গেল।তবে তার মনের ভিতর একটা কৌতুহল জাগ্রত হলো তার।ওই সময় সে দেখলো একটা নীভাল আলো তার উপর এসে পড়ল।আর তখনি সে উপরে হেঠে যেতে শুরু করে। কতসময় বাদে সে নিজেকে জাহাজ আবিস্কার করে। 

সেখানে দারুণ ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে ছিল।হঠাৎ সে দেখতে পেল এই মূর্তিটা তার দিকে আসতে থাকে।তখনি রিমন পিছিয়ে গেলেই লক্ষ করে যে,কোনো ভাবেই জায়গা থেকে সরতে পারছেনা নিজেকে।তার কপালে প্রচন্ড ঘাম জমতে লাগল।ছায়ামূর্তি টি তার সামনে এসে হাজির হলো।সে দেখল এটি শুকিয়ে শুটকি হয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ দেখলো শুকিয়ে যাওয়া মানব শিশুর মতো,শুধু মাথাটা অস্বাভাবিক রকম।আর হাত পায়ের আঙ্গুল গুলো লম্বা লম্বা।সেটি তার চোখের দিকে তাকাল আর তার মেরুদণ্ড বরাবর শীতল প্রবাহ বয়ে গেল।ছায়ামূর্তি টি তার উদ্দেশ্য বলল রিমন তোমাকে স্বাগতম,তুমি ভয় পাইয়ো না।

রিমন সঙ্গে বিপদ আঁচ করলো।কিন্তু সে বুঝতে পারলো তার বলার ক্ষমতা নাই।ধীরে ধীরে তার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।হঠাৎ তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে আর সে ঢলে পরে।কিন্তু আশ্চর্য সে দাঁড়িয়ে গেল।

রিমন ঠিক তখনি চোখ খুলে উঠে বসে বেডরুমের বিছানায়। তার অন্তরে হেমার পিঠানোর মতো আওয়াজ করছে।তখন তা বন্ধ হয়ে গেল! তার সামনে ছায়ামূর্তি টি দাঁড়িয়ে আছে আর তার মস্তিষ্ক কাজ করতে বন্ধ হয়ে গেল।

তবে এবার রিমন অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করলো।সে বুঝতে পারলো এভাবে বারবার তার উপর বিপদ আসলে সে কখনো নিজেকে সামলে নিতে পারবেনা।উল্টো বিপদ থাকে আরো অনেক পরিমান গ্রাস করবে।

তাই সে অতি শিগগিরই গতিতে ছায়ামূর্তি টির মাথা বরাবর স্বজোরে গুসি মারতে পারে।কিন্তু সে অবাক চোখে দেখলো মূর্তিটির কিছুই হলো না বরং তার হাতে অনেক ব্যাথা পেয়েছে।

রিমনের হঠাৎ করে মনে পড়ে যায়, সায়েন্স ফিকশনের বইয়ে পড়া গল্পের কথা।সে বুঝতে পারলো, সে একটি পরীক্ষাগারে বন্দী।ছায়ামূর্তি টি তার উপর এক্সপেরিমেন্ট করেছে!

এর মানে, সে এতক্ষণ যা করেছে ভেবেছে সব ছায়ামূর্তিটি বুঝতে অসুবিধা হয় নি?

আর বুঝর জন্যই তো  এতো এক্সপেরিমেন্ট তার কাছে!

তাই সে এবার চোখ বন্ধ করে ফেলল।সে ধীরে ধীরে বলল আমি জানি তুমি কি চাও।তুমি কি করছো তা ও জানি।তুমি এখন আমার কিচ্ছু করতে পারবেনা।ভালো চাও তো সব আগের মতো করে ফেলো... নইলে খুব ভালো হবে না? 

এবার মনে হয় কাজও হলো।সে দেখলো,রিমনের চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে। সে নিজেকে একটা সবুজ বৃত্তর মধ্যে আবিষ্কার করে।


বাকিটুকু বলার আগেই রিমন এক-দুএক পলকে একটি বিরাট হলঘরে নিজেকে দাঁড়ানো অবস্থাতে আবিস্কার করার চেষ্টা করলো?

সে পিছনে ফিরে থাকিয়ে দেখলো একজন সু দক্ষ যুবক তার পাশে দাড়িয়ে আছে।মুখে মৃদু হাসি।কিন্তু রিমনের অতো অভিজ্ঞতার পর সে আর ভুল না করার জন্য সচেতন হয়ে উঠলো! এটিয়ো ছিলো তার উপর এক্সপেরিমেন্ট এর একটা অংশ।

তাই সে ছায়ামূর্তি আর আর কখনো তোমার এসব ভিভ্রান্তিতে আমি যোগ দিবো না।

তাই অযতা সময় নষ্ট করে কী লাভ? এসব ছেড়ে দাও। 

সে অনুভব করে যে, সে ধীরে ধীরে নিচে নামতা শুরু করেছে।সে ওপরে তাকিয়ে দেখলো,জাহাজটি স্হির হয়ে আছে আকাশের ধীকে থাকিয়ে।নিচে থাকাল সে দেখলো তার বাড়ির ঠিক ছাদের ঐ পাশে এসে নামালো। বালুকাময় মাঠিতে তার পা পড়তেই একটা ভালো বাতাস বয়ে এসেছে। সে ফিছনে ফিরে থাকিয়ে দেখলো জাহাজ টি তার পাশ থেকে হঠাৎ মিলিয়ে উধাও হয়ে গেল।রিমনের চোখ বন্ধ হয়ে আসলো। কারো শরীরের স্পর্শ বা ছোয়া পেয়ে রিমন পালদিয়ে জেগে উঠে। দেখলো তার আম্মু রাগী চোখে চেয়ে আছেন।বলল, কী?মানুষটির ঘুম ভাঙ্গলো এতক্ষণে? তার কালকে বাইরে থেকে হঠাৎ তোর ঘরে কীভাবে আসলো?

শেষমেশ কথাটি শুনে রিমনের সকল কিছু মনে পরে গেল।তার শরীরের মেরুদণ্ড বরাবর আবার শীতল হতে লাগলো। 


ইমরানুল হাসান 

পাগলা বাজার ৩০০১,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ( শান্তিগঞ্জ) সুনামগঞ্জ,সিলেট,বাংলাদেশ। 

মোবাইল নংঃ-০১৭০৬০৭২৬৯৪ হোয়াটসঅ্যাপ

০১৯৭৮৬০৩১২০


Tag
আরও খবর