ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে আইএইচসি পরিবারের ইফতার বাঘায় ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লালপুরে মাদকের আসর বন্ধ করায় সাংবাদিকের নামে থানায় অভিযোগ বগুডার শেরপুর বার্মিজ চাকুসহ যুবক গ্রেফতার শ্রীমঙ্গলে প্রশাসনের অভিযানে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হৃদয়ে নান্দাইল এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত বগুড়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ ৩নং খামারকান্দী ইউনিয়ন নতুন কমিটি গঠন তারেক জিয়ার নির্দেশ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে কমলগঞ্জে- মহসিন মিয়া মধু সাত কলেজকে স্বতন্ত্র কাঠামো করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত হলো নতুন নাম। বড়লেখা সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ চিলমারীতে "তিন মাস থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ" থাকায়, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ বড়লেখায় ওয়ার্ড জামায়াতের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল বড়লেখায় যুবকল্যান পরিষদের কর্মী শিক্ষা বৈঠক ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন সাতক্ষীরার বিএনপি নেতাকে হত্যা,সাবেক এমপি মোস্তফা লুৎফুল্লাহ ও এসপি মঞ্জুরুল কবীর সহ ২২ জনের নামে মামলা পীরগাছায় এমদাদুল উলূম হাফেজি মাদরাসায় ইফতার মাহফিল সাতক্ষীরায় সরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলে- সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকাস্থ আশাশুনি উপজেলা সমিতির প্রথম ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লাখাইয়ে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে দুর্গন্ধের কারণে, বুল্লাবাজারে যেখানে -সেখানে ময়লা-আবর্জনা।

রাজাকারের তালিকা করবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল: সংসদে বিল পাস

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 30-08-2022 12:20:09 am

ফাইল ছবি

◾ নিউজ ডেস্ক


রাজাকারদের তালিকা তৈরির পথে আইনি বাধা কাটছে। এ জন্য রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীসহ স্বাধীনতা-বিরোধীদের তালিকা তৈরির বিধান রেখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন পাস করেছে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল-২০২২’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। 


এর আগে গত ৫ জুন বিলটি সংসদে তোলেন মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। 


বর্তমান সরকার স্বাধীনতা-বিরোধী রাজাকারদের তালিকা তৈরি করতে কয়েক বছর আগেই উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে, আইনি বাধার কারণে সেই উদ্যোগে ছেদ পড়ে। এই বিল পাস হওয়ার পরে সেই বাধা আর থাকছে না। এখন বিলটিতে রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দিলে গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর তা আইনে পরিণত হবে। 


সংসদে উত্থাপিত বিলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা’ এই আইনে গৃহীত হবে বলে উল্লেখ ছিল। তবে সংসদীয় কমিটি সেই সংজ্ঞা পূর্ণাঙ্গভাবে বিলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিদ্যমান আইনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। 


বিলে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন—তাঁদের স্বাধীনতা-বিরোধী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। 


এতে আরও বলা হয়েছে, খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের অপরাধমূলক ঘৃণ্য কার্যকলাপ দ্বারা নিরীহ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করেছেন অথবা একক বা যৌথ বা দলীয় সিদ্ধান্তক্রমে প্রত্যক্ষভাবে, সক্রিয়ভাবে বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন তাঁদের তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠাবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।


কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ১২ জন করা হয়েছে বলে বিলে জানানো হয়েছে। আগের আইনে ৯ জন ছিলেন। কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা হবেন প্রধানমন্ত্রী। কাউন্সিলের আটজন সদস্য প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়ন দেবেন, যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হবেন। 


উপদেষ্টা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কমান্ডার, সাব সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারগুলোর বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, এই বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবও এই পরিষদে থাকবেন। 


কাউন্সিল মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের নিবন্ধন প্রদান, সাময়িকভাবে স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে। ২০১৯ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধনের খসড়া তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সুপারিশও নেওয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে আইনের ভাষা পরিমার্জনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষে পাঠানো হয়। 


 ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুটি সংশোধনী দিয়ে ওই খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা গত জুনে মন্ত্রিপরিষদ সভায় পাঠানো হয়। এ বছরের জানুয়ারি মানে খসড়া আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। 


রাজাকারদের তালিকা তৈরি করতে ২০২০ সালে একটি উপ-কমিটি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি প্রথমে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভায় যাওয়ার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত পাল্টান। গত এপ্রিলে আগের কমিটি ভেঙে নতুন করে উপ-কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। 


বিলটির ওপর আলোচনায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করা যায়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি তারাও এখন মুক্তিযোদ্ধা। পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে, ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার বয়স ৫০ বছর। স্বাধীনতারও ৫০ বছর পর তাদের বয়সও ৫০ বছর! সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করা উচিত।’ 

আরও খবর