বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কী? প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব মাঈনউদ্দিন আল-মাহীর কবিতা - "শব্দহীন অভিমান" ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন লালপুরে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার, ছাত্রদল নেতাসহ আটক ২ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত পাবিপ্রবিতে পদ্মা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমারে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জে মাঠ দিবস পালিত কোম্পানীগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ নন্দীগ্রামে ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার মাহফিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার মাহফিল! আদমদীঘিতে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি কুবিতে আছিয়ার ধর্ষকদের অতিদ্রুত বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইমতিয়াজ, সম্পাদক তন্ময় আদমদীঘিতে বিস্কুটের প্যাকেটের ভিতর হেরোইন, বাসযাত্রী গ্রেপ্তার শুক্রবার একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যাচ্ছেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষকের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন নন্দীগ্রামে পৌর জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

‘উচ্চঝুঁকি’তে চামড়া, ‘নিরাপদ’ ওষুধ-ব্যাংক খাত

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 06-05-2023 11:45:28 pm

সার্বিক মূল্য আয় অনুপাতের (পিই) ভিত্তিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘নিরাপদ’ অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও ব্যাংক খাত। অন্যদিকে ‘উচ্চঝুঁকিতে’ চামড়া খাত। সেই সঙ্গে অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিরামিক ও প্রকৌশল খাতও ঝুঁকিতে রয়েছে।


সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি নির্ণয় করার একটি অন্যতম মাপকাঠি মূল্য আয় অনুপাত। সাধারণত ১০-১৫ পিইকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়। কোনো কোম্পানির পিই ১০-এর নিচে চলে গেলে, ওই কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত বা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ধরা হয়।


তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। এক সপ্তাহ আগে এ মূল্য আয় অনুপাত ছিল ১৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য আয় অনুপাত বেড়েছে ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।


সপ্তাহের ব্যবধানে পিই বাড়লেও চার খাতের পিই সার্বিক বাজার পিই’র নিচে রয়েছে। এ চার খাতের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক, ওষুধ, সাধারণ বিমা ও টেলিযোগাযোগ। এর মধ্যে সবচেয়ে কম পিই রয়েছে ওষুধ খাতের। বর্তমানে এ খাতের পিই রয়েছে ১১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এ খাতের পিই কমেছে।


১১ দশমিক ৯৬ পিই নিয়ে এরপরের স্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট। পরের স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতের বর্তমান পিই ১৬ দশমিক ১১ পয়েন্ট। এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ১৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ১৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এ তিন খাতের পিই বেড়েছে।


বাকি খাতগুলোর পিই বাজার পিই-এর ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিই চামড়া খাতের। এ খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট।


সর্বোচ্চ পিই’র তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং খাত। এ খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৭ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতের পিই ৪২ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪১ দশমিক ৮১ পয়েন্ট।


এছাড়া প্রকৌশল খাতের পিই ৩৯ দশমিক ৭২ পয়েন্ট থেকে ৪১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের পিই ২১ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট থেকে ২৩ দশমিক ৪০ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের পিই ২২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট থেকে ২২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১৯ দশমিক ৮৩ থেকে ২২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট হয়েছে। আইটি খাতের পিই ৩২ দশমিক ৮১ পয়েন্ট থেকে ৩১ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট রয়েছে। সিমেন্ট খাতের পিই ৪২ দশমিক ১১ পয়েন্ট থেকে ২২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট হয়েছে।


ডিএসইর এক সদস্য বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পিই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডিকেটর হিসেবে বিবেচিত। সাধারণত ১৫ পিই পর্যন্ত বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়। আর কোনো কোম্পানির পিই ১০-এর নিচে নেমে গেলে কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত ধরা হয়। তবে কোনো কোম্পানির পিই ৪০-৫০ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ ৪০-৫০ পিই’র শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।


এদিকে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিই বিবেচনায় নেওয়া হয়। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ মার্জিন ঋণের নিয়ে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। শর্তসাপেক্ষে ৫০ পিই পর্যন্ত শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ দেওয়ার নিয়ম চালু করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আগে ৪০ পিই’র বেশি কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণা দেওয়া হতো না।


নতুন নির্দেশনা অনুসারে, টানা তিন বছর ধরে ‘এ’ গ্রুপে অবস্থান করা যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি, সেসব কোম্পানির শেয়ারে মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে। এ ধরনের শেয়ারকে মার্জিনেবল শেয়ার হিসেবে বিবেচনা করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব কোম্পানি ছাড়া অন্য সব কোম্পানির শেয়ার আগের মতই ৪০ পিই পর্যন্ত মার্জিন ঋণ পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরও খবর