গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় মাহফুজ রানা ফরাজি (১৮) নামের এক ও লেভেল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিবার দাবি করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে দশটায় সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মাহফুজ ফরাজি উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘি এলাকার ফজলুল হক ফরাজির ছেলে। স্থানীয় প্লেজ হার্বার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে “ও লেভেল” পর্যন্ত অধ্যয়নরত ছিল। বর্তমানে সে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে মাহফুজকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তৌফিক।পরে মাহফুজকে তার বাবা ফোন দিলে বলে সে চৌরাস্তায় আছে,কিছুক্ষন পর চলে আসবে।পরে বাবা কাজে উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হলে বাসা থেকে কেউ একজন জানান মাহফুজ রাজেন্দ্রপুর এলাকায় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা মাহফুজকে উদ্ধার করে পিক-আপে করে প্রথমে মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে যায় কিন্তু সেখানে কোনো চিকিৎসা না পাওয়ায় পরে সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার নিয়ে আসা হয় । সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠালো হলে পথিমধ্যে মাহফুজের মৃত্যু হয়।
নিহতের পিতা ফজলুল হক ফরাজি অভিযোগ করে বলেন, মাহফুজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। গতকাল রাতে তৌফিক রাতে বাসা ডেকে নিয়ে কোনো প্রকার লোভ লালসা থেকে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।পরে তারা বিভিন্ন ভাবে পিলারের সাথে ধাক্কা লাগিয়ে এক্সিডেন্ট রূপান্তর করতে চাচ্ছে।মূলত তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন,গতকাল ছেলের স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়া জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে নিয়ে আসলাম। একমাসের মধ্যে কানাডা চলে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সব শেষ আর যাওয়া হলো না।
ঘটনার বিষয়ে তৌফিকের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে তাকে না পেয়ে যোগাযোগ করা হয় তার বাবা মোফাজ্জল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, এঘটনায় আমার ছেলেও আহত হয়েছে। তাকে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার বিষয়ে তার ছেলের সাথে কোন ধরনের কথা বলতে পারিনি। তবে তৌফিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা পুরোই মিথ্যা, সাজানো।
নিহতের বাবার জানিয়েছেন ঘটনার বিষয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও জমা নেয়নি পুলিশ। অভিযোগ জমা না নেয়ার বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, ভিকটিমের পরিবার থানায় পরামর্শের জন্য এসেছিলেন। এক বন্ধু তো আরেক বন্ধুকে ডেকে নিতেই পারে। যেহেতু একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে আমরা বলে দিয়েছি আপনারা গিয়ে ঘটনাস্থল নির্ধারণ করে পরে আসুন।ঘটনাস্থল নির্ধারণের পর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এবিষয়ে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম বলেন, তুলে এনে হত্যা করা হয়েছে এমন ঘটনা জানিয়ে কেউ এখনো থানায় যোগাযোগ করেননি। আমরা দুর্ঘটনার খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছি। এবিষয়ে কারও কোন অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
১ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে