◾মুফতি খালিদ কাসেমি : মানুষের বিশ্রামের জন্য ঘুম আল্লাহর দেওয়া এক বিশেষ নিয়ামত। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘এবং তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে রাত ও দিনে তোমাদের ঘুম এবং তোমাদের তাঁর অনুগ্রহ অনুসন্ধান। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন আছে সেই সকল লোকের জন্য, যারা কথা শোনে।’ (সুরা রোম: ২৩)
সুস্থ থাকার জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত ঘুম ক্লান্তি দূর করে, মানসিক চাপ কমায় এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে। তাই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তোমাদের ঘুমকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাতকে করেছি আবরণ।’ (সুরা নাবা: ৯-১০)
ঘুমের সবচেয়ে উত্তম সময় রাত। রাতের নীরব-নিস্তব্ধ পরিবেশ ঘুমের জন্য অত্যন্ত সহায়ক; দিনে অনেক ক্ষেত্রেই সেটি পাওয়া যায় না। তাই দিনের ঘুম রাতের মতো গভীর হয় না। এ কারণে ঘুমের চাহিদা রাতেই পূরণ করা উচিত। তবে দুপুরের খাবারের পর কিছুক্ষণ শোয়া যেতে পারে।
অনেকে আসরের পরে ঘুমান। বিনা ওজরে এই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা মাকরুহ। কারণ আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময় কম। এই সময় ঘুমালে মাগরিবের নামাজ কাজা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে না ঘুমিয়ে জিকির ও তিলাওয়াতে মগ্ন থাকা উচিত।
অনেকে বিনা প্রয়োজনে আসরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করতেন। ইমাম আহমদ (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘আসরের পর ঘুমানো মাকরুহ, এতে বুদ্ধি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা আছে।’ (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
তবে কখনো অসুস্থতা, ক্লান্তি কিংবা অনিদ্রার মতো কোনো ওজরের কারণে আসরের পর ঘুমানোর অবকাশ রয়েছে। শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এতে কোনো সমস্যা নেই।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
১১ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৬ দিন ৮ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৭ দিন ৭ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৩১ দিন ২১ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৩৬ দিন ৭ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৫০ দিন ১৬ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৫৫ দিন ১ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৫৯ দিন ২৩ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে