বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন ঝুকি নিয়ে বিপদজনক সাঁকো পেড়িয়ে স্কুলে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন, যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে এই ইউনিয়নেও নানান উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম চলছ কিন্তু বিগত ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া পায়নি মালিকান্দা সরদার বাড়ি থেকে পঞ্চগ্রাম বাজারের রাস্তা। যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারনে এ গ্রামের উৎপাদিত সবজির ভালো দাম ও পান না কৃষক। গ্রাম থেকে শহরে চলে গেছে অনেক পরিবার। এ ছাড়াও এখানে অবস্থিত মালিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীরা ঝুকি নিয়ে বিপদজনক সাঁকো, কার্দমাক্ত রাস্তা, কখনো হাটু সমান পানি পেরিয়ে যেতে হচ্ছে স্কুলে। সরদার বাড়ি থেকে স্কুলটি যেতে সময় লাগে মাত্র ৫-৭ মিনিট কিন্তু বিপদজনক সাঁকো, কাঁদা, পানি পেরিয়ে যেতে সময় লাগে প্রায় ২০ মিনিট তাও আবার কাঁদা মেখে পানিতে ভিজে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ সমস্যার প্রতিকার জন্য প্রয়োজন একটি কালভার্ট ও রাস্তায় মাটি ভরাট।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন জননান, স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকি পানিতে পড়ল কিনা, কাঁদায় পিছলা খেয়ে হাত পায়ে ব্যাথা পেল কিনা।
অন্য এক অভিভাবক জানান, আমরা ছোট বেলায় ২ টি কাপড় স্কুলে নিয়ে যেতাম। যাওয়ার সময় যেটা পড়তাম সেটা ভিজে যেত ফলে সেটা পাল্টাতে হতো। এখনাকার এই ডিজিটাল যুগে আমাদের বাচ্চারা একই কষ্ট করছে এটা খুবই দুঃখজনক।
ওই বাড়ির দুই ভাই জানন, আমাদের এখানকার যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারনে ও বাচ্চাদের পড়াশোনা জন্য বাড়ি ছেড়ে বাসাভাড়া করে শহরে থেকেছি। ৩০ বছর পর এখনো সেই রাস্তা, সেই বিপদজনক সাঁকো ।
তাই এলাকাবাসীর প্রনের দাবি একটি কালভার্ট ও রাস্তায় মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করার।