পবিত্র শবে কদর আগামীকাল কাল বিএফএ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন প্রধান উপদেষ্টা কোম্পানীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটির ঘোষণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী পাকিস্তান ডোমারে বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি নন্দীগ্রাম বিএনপি'র শ্রদ্ধা নিবেদন নন্দীগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সোহেলের পরিবারে সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের উপহার আক্কেলপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল কুলিয়ারচরে ছাত্রদলের উদ্যোগে পথচারীদের ইফতার বিতরন কুলিয়ারচরে ছাত্রদলের উদ্যোগে পথচারীদের ইফতার বিতরন আনোয়ারা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের এতিমদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ’২৫ ইং অনুষ্ঠিত মমতায় মাখা মধু খালার চা পীরগাছায় তানজিমুল হিকমাহ একাডেমির হাদিস মুখস্তকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ নড়িয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সুরেশ্বর ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার বিতরণ দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস বাকৃবিতে স্বাধীনতা দিবসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের আলাদা শ্রদ্ধা নিবেদন পীরগাছায় ইক্ব্রা ইসলামিক যুব সংগঠনের উদ্বোধন

ডেঙ্গু রোধে উদ্যোগ নেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে



সরকারি হিসেব মতে রাজধানী ঢাকার পর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল ও চট্টগ্রামে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে উদ্যোগী হবার কথা বলা হলেও এখনো উদাসীন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীর এ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই সচেতনতার কোনো বালাই। বরঞ্চ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীরা ফুঁসছে চরম ক্ষোভে। 


ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে মশা নিধন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।গত সপ্তাহের বুধবার মাউশির নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু আজ রোববার পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে কোনো সচেতনতা কার্যক্রম চোখে পরে নি ডেঙ্গু প্রতিরোধে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে চোখে পরলো ডেঙ্গু ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদানের অপ্রতুলতার চিত্র। 


বিশ্ববিদ্যালয়টির হলগুলোতে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী বাস করলেও কোথাও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কোনো পোস্টার নেই। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি থাকলেও মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে পুরো ক্যাম্পাসের কোথাও নেই কোনো উদ্যোগ। মেডিকেল সেন্টারে রয়েছে মাত্র দুটি বেড। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে শিক্ষার্থীদের দেবার জন্য সাধারণ প্যারাসিটেমল ছাড়া নেই আর কোনো ওষুধ। এসব ব্যাপার নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 


মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন  বলেন, ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে ময়লা - আবর্জনার যে স্তুপ হয়েছে তাতে মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ না নেয়ায় ডেঙ্গু সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ছে। 


উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন ইসলাম  বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে উদাসীন অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। যতটুকু জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে থাকলেও তাদেরকে নিয়ে কেউ ভাবছে না। 


ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে উপাচার্য ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিনের মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেন নি। মাউশি এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পেয়েছে কিনা জানতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সুপ্রভাত হালদারকে মুঠোফোনে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দিয়েও কোনো সাড়া মেলে নি। 


তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম  জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে হলেও তাদেরকে অনুরোধ করে কয়েকবার মশক নিধনের স্প্রে করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ ডোবা - নালা এবং পানি জমে থাকার মতো জায়গা গুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আর কি কি সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়েও ভাবছে প্রশাসন। 

Tag
আরও খবর