অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, আরব দেশ, আফ্রিকা, ওআইসি সহ সারা বিশ্ব প্রশংসা করছে। অভিনন্দন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। কিন্তু শুধু বাংলাদেশেরই একটি মহল এ নির্বাচনকে পছন্দ করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, নির্বাচনের ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। পরবর্তী ট্রেনের জন্য বিএনপিকে আরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, সময় আছে পাঁচ বছর। পাঁচ বছরের মধ্যে আর উল্টোপাল্টা বলে কোনও লাভ নেই। অপেক্ষা করতে হবে। পাঁচ বছর পর আবার ১০ ডিসেম্বর, আবার ২৮ অক্টোবরের অপেক্ষা করুন। নির্বাচনের ট্রেন বন্ধ গেছে পাঁচ বছর পর আবার চালু হবে। বিএনপিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচন শেখাতে হবে না। এ দেশে ভালো নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেখ হাসিনা চালু করেছেন। এই নির্বাচনে আমরা দেখলাম সরকারি দলের একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ও কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নতুন দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বহুদেশ নির্বাচিত সরকারকে নিয়ে প্রশংসা করছে। শুধু বাংলাদেশের একটি দল ছাড়া। নির্বাচনে এলে হেরে যাবে এই কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এই নির্বাচনকে যারা বয়কট করেছে তারা অনেক কথা বলেছে।
কাদের বলেন, নির্বাচন পাতানো ছিল না। নামিদামি দেশ পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানাল কেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও অভিনন্দন জানিয়েছেন সরকারকে।
তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দলের নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালী ফসল ঘরে তুলেছি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
শেখ হাসিনা দেশে ভালো নির্বাচন করেছেন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে, সরকারি দলের প্রার্থীকেও শোকজ করেছে কমিশন। গণতন্ত্রের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।
কাদের আরো বলেন, সংবিধানের নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার যেদিন গঠিত হয়েছে তার পেছনের তিনমাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সাংবিধানিক এ বিধানেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যৌথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আফম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
২ দিন ২২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৩ দিন ৭ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৪ দিন ২০ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৫ দিন ২১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৬ দিন ৭ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৯ দিন ২১ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১০ দিন ২ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১১ দিন ৭ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে