নিউজ ডেস্ক:
বর্তমান বৈশ্বিক সংকটে নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলের কর্মীদের সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
সোমবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ফলমূল, শাকসবজি ও মাস কলাইয়ের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতারা এ আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় নেতারা বঙ্গমাতা যে ত্যাগ স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুকে সাহস ও প্রেরণা দিয়েছেন, সবাইকে তার থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতি করতে সহযোগিতা করেছেন। কঠিন দৃঢ়তা ও সাহস নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে সব সময় থেকেছেন, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি নিতে পরিবারকে রাজি করানোর জন্য দলের অনেক নেতা সেদিন চাপ প্রয়োগও করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গমাতা দৃঢ়তার সঙ্গে তা প্রত্যাখান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি একা বিধবা হবো না, যে ৩৫ জন বন্দি আছেন তাদের স্ত্রীরাও বিধবা হবেন। বঙ্গমাতা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজে লেখাপড়া করেননি, কিন্তু তার মধ্যে এই রাজনৈতিক সচেতনতা, দৃঢ়তা জীবনের পাঠশালা থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে পৃথিবীতে যেকোনো সময় খাদ্য সংকট, দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সংকটের সুযোগ নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র হয়। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আগামী দিনে যাতে কোনো অঘটন না ঘটে তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বঙ্গমাতার স্মৃতিচারণ করে বলেন, এতো দেশ প্রেম, সাহস ও ধৈর্য্য তার, যার প্রমাণ আমরা তার বিভিন্ন কর্মের মধ্য দিয়ে পাই। স্বামীর (বঙ্গবন্ধুর) সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেই সাহস, দেশপ্রেম ধারণ করেছেন।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, তারা জানে, শেখ হাসিনাকে যদি হত্যা করা যায় সারা জীবনের জন্য তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বঙ্গমাতাকে স্মরণ করে বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির জন্য দলের নেতারা পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গমাতা বাধা দিয়ে বলেছিলেন, প্যারোলে মুক্তি তিনি নেবে না। তাকে মুক্তি দিতে হলে সব আসামিকে নিয়ে সম্মানের সঙ্গে মুক্তি দিতে হবে, সরকার সেটাই করবে। পরবর্তীতে সেটাই হয়েছিলো। আর ৭ মার্চের ভাষণের আগে বঙ্গবন্ধুকে অনেক নেতা অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গমাতা বলেছিলেন, তুমি কারো কথা শুনবে না, তোমার মনে যেটা আসে তুমি সেটাই বলবে। বঙ্গবন্ধু তাই করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।
১৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১ দিন ২১ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১ দিন ২১ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
২ দিন ১৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
২ দিন ১৯ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩ দিন ২১ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৪ দিন ২২ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে