জয়পুরহাটে পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা আমার একমাত্র দায়িত্ব-পীরগাছায় এমদাদুল হক ভরসা জলবায়ু অভিযোজনে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে পবিপ্রবির ‘ADM-LAB’ প্রকল্প অক্টোবরে সড়কে ৪৬৯ প্রাণহানি হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘিরে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পবিপ্রবিতে ইন্টার্নশিপ ওরিয়েন্টেশন ও সার্জিক্যাল কিট বক্স বিতরণ উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ১৫ মিনিটে অলআউট আয়ারল্যান্ড অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে খারিজ রিটের শুনানি চলছে তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন তারেক রহমান নভেম্বরের শেষ নাগাদ দেশে ফিরছেন পবিপ্রবিতে সিপিএল-২৬ এর জমকালো অকশন চুক্তি স্বাক্ষর, ২০২৬ সালে হজে যেতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার কালিগঞ্জে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও পুষ্টি উন্নয়নে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে এনএফএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনর যাত্রা শুরু দন্ত চিকিৎসা সেবার যাত্রা শুরু হলো লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।। শ্রমিক দলের আলোচনা সভায় সাবেক এমপি বাবুকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয় করার অঙ্গীকার শ্যামনগরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

ডিম পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগি চড়া দামে বিক্রি, বেড়েছে আদা-রসুনের দাম

ফের ডিম, পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিম ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা। আর প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে খরচ হচ্ছে ২০০ টাকা। এছাড়া নতুন করে বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। ফলে এসব পণ্য কিনতে বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে ভোক্তাকে। বাজারে গিয়ে উঠছে নাভিশ্বাস। সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গত বছরের নভেম্বরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা বিক্রি হলেও ডিসেম্বরে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে দেশি জাত বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমে চলতি বছর জানুয়ারিতে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার খরচ করতে হয়েছে ৯০-১০০ টাকা। আর সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দাম বেড়ে সোমবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায় ১২০-১৩০ টাকায়।

রাজধানীর নয়াবাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারে ১৫ দিন ধরে পেঁয়াজের দাম ফের বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। সরবরাহ সংকটের কথা বলে বিক্রেতারা হুহু করে দাম বাড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে রমজান ঘিরে বাড়তি মুনাফা করতে তারা কারসাজি করছে। তাই এখনই পাইকরি পর্যায়ে তদারকি জোরদার করা দরকার।

রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শংকর চন্দ্র দাস বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ শেষ। হালিকাটা পেঁয়াজ না আসায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে হালিকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলেই দাম কমে যাবে। এখানে রোজা ঘিরে কারসাজির কোনো কারণ নেই।

রাজধানীর খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হয় ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে একই দাম ছিল। তবে দুই সপ্তাহ আগে ক্রেতা ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে পেরেছে।

রাজধানীর কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. সামীম বলেন, বাজারে শান্তি নেই। যে টাকা নিয়ে বাজারে আসি, তা দিয়ে তালিকার সব পণ্য কিনে বাড়ি ফিরতে পারি না। কম করে কিনলেও কিছু না কিছু পণ্য না কিনে বাড়ি ফিরতে হয়। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারলেও এখন ফের ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই মুরগির মাংস দিয়ে আমিষের চাহিদা মেটাব, তাও কপালে নেই। 

কারণ, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। আর দেশি মুরগিতে হাতই দেওয়া যাচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও দাম অনেক বেশি। ভরা মৌসুমেও কিনতে হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তাই বাজারে এলে আমাদের মতো কম আয়ের মানুষের এখন নাভিশ্বাস ওঠে। দেখার যেন কেউ নেই।

বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে আদা ও রসুনের দাম ফের বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ২৩৫-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

পাশাপাশি প্রতি কেজি দেশি আদা ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি ভালো মানের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা, যা এক মাস আগেও ৯০ টাকা ছিল। 

খুচরা বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৬০ টাকা ছিল। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও একই দাম ছিল। পাশাপাশি প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। 

ভোজ্যতেলের মধ্যে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, যা সাতদিন আগে ছিল ১৬৫ টাকা। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৩-১৭৪ টাকা, যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। এছাড়া পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা সাতদিন আগে ১৩৫ টাকা ছিল।

সোমবার বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বাজারে অভিযান চলমান আছে। কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই পণ্যমূল্য সহনীয় করতে ইতোমধ্যে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে রোজার আগেই পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

Tag
আরও খবর


690a170a85410-041125090858.webp
দাম কমল ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের

৭ দিন ১৯ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে


6908c52f77942-031125090727.webp
অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ

৮ দিন ১৯ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে