রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা- ২০২৪ এর ফাইনালে শহীদ হবিবুর রহমান হলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সৈয়দ আমির আলী হল।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শহিদ স্মৃতি সংগ্রহশালা মুক্তমঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর কতৃক আয়োজিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। সংসদীয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোট ১৭ টি হলের মধ্যে শহিদ হবিবুর রহমান হল ও সৈয়দ আমির আলী হল ফাইনালে ওঠে।
উক্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফলাফল শেষে টুর্নামেন্টের ও একই সাথে ফাইনালের শ্রেষ্ট বিতার্কিক নির্বাচিত হন আমির আলী হলের বিতার্কিক মামুনুজ্জামান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক। বিতর্ক শেষে পুরষ্কার তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে শুধু পুথিগত বিদ্যা নই তার বাইরে এসে লেখাপড়া করে নিজের যে জগত টা সে জগতকে আরো বিকশিত করা প্রকাশিত করা। আর সেক্ষেত্রে সংস্কৃতি একটি বড় মাধ্যমে হতে পারে,আর সেই সৃংস্কৃতির একটি মাধ্যমে আমাদের এই বির্তক প্রতিযোগিতা। তিনি আরো বলেন, আমরা জানি তথ্য বিষয়ে নির্ভুল ধারণা থেকে জ্ঞানের সৃষ্টি, আর বিতর্করা যা করেন একটি জ্ঞানকে আরেকটি জ্ঞানের দ্বানদিক অবস্থানে দাড় করিয়ে আসল সত্যটাকে বের করে।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশকে শিক্ষার্থী বান্ধব ঘরে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। সম্ভবনাময় তরুণ শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিয়মিত সাংস্কৃতিকের আয়োজন করবে এবং করে যাচ্ছে। তারই ফলস্বরূপ আজকের এই আয়োজন। সমাপনী বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের একত্রিত করেছিলাম তা সফল হয়েছে। আমাদের সমাজের যে অবক্ষয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বের করে তাদের গৌরবজ্জল ইতিহাসে ফিরিয়ে আনতে এ প্রচেষ্টা। মানবিক এবং সহনশীল মানুষ সৃষ্টির জন্য আমরা শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাবে। আমাদের গণতান্ত্রিক, সহনশীলতা এবং জ্ঞানের মাধ্যমে বিশ্বে দেখিয়ে দিব আমরাও সব পারি।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ টি হলের বিতার্কিকদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের সূচনা হয়। প্রতিটি হল থেকে ৫ জন বিতার্কিক মিলিয়ে সর্বমোট ৮৫ জন বিতার্কিক অংশগ্রহণ করে এই প্রতিযোগিতায়।
১০ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে