সুন্নাতে খতনা করাতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, যেসব শিশুর পরিবারে খতনার বিষয় আছে, তারা শঙ্কিত। এই যে চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে দুটি শিশুর প্রাণ হারাল, সেটা নিয়ে অনেকে শঙ্কিত।
২৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, গত কয়েক দিন আগে বা কিছু দিন ধরে আপানারা দেখেছেন দুইজন শিশু, আইমান ও আইয়ান খতনা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে। কয়েক দিন আগে আরেক শিশু এই অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু ঝুঁকিতে ছিল। আমরা লক্ষ্য করছি, শিশুর খতনার বিষয়ে তাদের পরিবার শঙ্কিত। এই যে চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে এই দুই শিশু প্রাণ হারালো, বিষয়টা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত।
তিনি বলেন, এটা কেন হয়েছে, তা নিয়ে জাতি অবাক হলেও আমি কিন্তু বিস্মিত হই নাই। চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্ণধারকে নিয়ে যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়, তার অনৈতিকতা নিয়ে, তার স্বজনপ্রীতি নিয়ে, তার নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে নানা লেখালেখি হয়, তখন চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা কমে যায় বা চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
তিনি আরো বলেন, লক্ষ্য করে দেখুন আজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ যে পদ উপাচার্য- সেই উপাচার্যের বিষয়ে কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ প্রচার হয়েছে। এমন কি অনেক উপাচার্যের অডিও রেকর্ডও চলে এসেছে গণমাধ্যমে, তারা নিয়োগের জন্য সরাসরি প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্য।
হানিফ বলেন, এটাই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে হয়- তাহলে সেই জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে, তাদের নীতি-নৈতিকতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই থাকে না। গ্রিক দার্শনিক প্লেটো এক উক্তিতে বলেছিলেন, একটি দেশের মানুষ যেমন হবে- রাষ্ট্র তেমনি হবে। মানুষের চরিত্র দিয়েই রাষ্ট্র গঠিত হয়। আজ আমাদের শিক্ষিত ও সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের যদি এই অবস্থা হয়, তাদের মূল্যবোধ যদি এমন হয়- তাহলে এই রাষ্ট্র আস্তে আস্তে অবক্ষয়ের দিকে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, অগ্রগতি করেছেন। এখন প্রয়োজন এই উন্নয়ন ধরে রাখা। উন্নয়ন ধরে রাখার জন্য আমাদের সরকারের সামনে যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা- তা হলো মানুষের মধ্যে সততা, নীতিনৈতিকতা, মূল্যবোধের অবক্ষয়। এখান থেকে বের হতে না পারলে উন্নয়ন ধরে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, এই উন্নয়ন অগ্রগতি ধরে রাখার জন্য দরকার সমাজের যে নীতি-নৈতিকতা, সততার যে অবক্ষয়- সেটাকে কীভাবে আবার আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি, মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করা। আশা করি এই ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নেবে।
২৩ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
১ দিন ২২ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
২ দিন ৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
২ দিন ২২ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৬ দিন ১ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৭ দিন ৩ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৭ দিন ১৮ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
১৩ দিন ৮ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে