রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৫ই মার্চ) সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রায় ৭০০ জন পরীক্ষার্থী রাজশাহীর উদ্দেশ্যে আসছিল আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে। কিন্তু ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল, এমন সময় রাজশাহী মুখী ট্রেনটি একটি স্টেশনে এসে ইঞ্জিন ফেইল করে, এসময় ট্রেনে থাকা ৭০০ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া হয় উঠেছিল অনিশ্চিত। অবশেষে পশ্চিম বঙ্গের রেলওয়ে পরিচালকের বুদ্ধিমত্তা ও সুকৌশলের কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সেই ৭০০ শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী) রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার সাহা বিস্তারিত তুলে ধরে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। চলুন ঘটনা জেনে আসি তার ফেইসবুকে করা পোস্ট থেকে।
জেনারেল ম্যানেজার-ওয়েস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে নামক ফেসবুক পেইজের একটি পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, (হুবহু পোস্টটি তুলে ধরা হলো)
"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু উপলক্ষে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ধুমকেতু এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে। এই ভর্তি পরীক্ষাকে-পরীক্ষা না বলে ভর্তি যুদ্ধ বলা যেতে পারে। প্রায় ৭০০ ছাত্র ছাত্রী আজকে ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে এসে বিকেল সাড়ে তিনটার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। রেল ব্রোকেনের জন্য ধুমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকেই বিলম্বে রওনা হয়। সকাল ১১ টায় হিসেব করে দেখা গেল ট্রেনটি বিকেল ৩:০০ টা নাগাদ রাজশাহী পৌঁছবে। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ট্রনটি অন্য ট্রেনকে বসিয়ে দিয়ে এগিয়ে আনছিলাম। ভাগ্য এতই খারাপ, লাহেড়ী মোহনপুর স্টেশনে এসে ধূমকেতুর ইঞ্জিন ফেইল করে, চাকা ঘুরছে না। কি করা যায়, কি করা যায় পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শরৎনগরে বসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন কেটে এনে ধুমকেতু আবার চালু করলাম। হিসেবে করে দেখলাম ট্রেনটি বিকেল ৪ ঘটিকায় রাজশাহী পৌঁছবে, তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।
ভিসি মহোদয়কে পরীক্ষার সময় পিছিনোর বিনীত অনুরোধ করলাম। তিনি আমাকে প্রায় ৪ বার ফোন করে ট্রেনের খবর নিলেন। ট্রেন সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতিতে চলছে। দূশ্চিন্তা ছাড়ছে না। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উপায়ন্ত না দেখে আড়ানী স্টেশনের স্টপেজে ট্রেন না থামিয়ে থ্রু পাশ করলাম। ঈশ্বরকে খুব একটা ডাকি না, পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে জোড়ে জোড়ে ডাকা শুরু করলাম, একটু মানত ও করলাম। ঈশ্বর মনে হয় সদয় হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে দিলাম, তখন বিকেল ৩/৩৮ ঘটিকা। দৌড় দৌড় হলে ঢুকতে হবে ৪ টার মধ্যে।
ভিসি মহোদয়কে বিনীত অনুরোধ করলাম ছেলে মেয়েদের হলে ঢোকার সুযোগ দেয়ার জন্য। তিনি কথা রাখলেন এবং রেলওয়ের সবাইকে ধন্যবাদ দিলেন। ট্রেন পরিচালনায় পাকশী কন্ট্রোলে সার্বক্ষনিক ভাবে মনিটরিং করেন ডিআরএম (পাকশী)। এখন নিজেকে বেশ হালকা লাগছে।"
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৭৬ হাজাররের বেশি পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এবং পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিলো ৮২ শতাংশ।
৭ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
২১ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
২১ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে