বাংলাদেশ সরকার দেশে বাণিজ্যিক চাষ শুরু করার লক্ষ্যে ৫০ লাখেও বেশি ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। হ্যাচারি ফিড অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এক রিপোর্টে জানিয়েছে, গ্রীন বায়ো টেক (বিডি) কর্পোরেশন ভারত থেকে শ্রীম্প পিএল (১০-১২) নামক প্রজাতির চিংড়ির পোনা আমদানি করবে। এই শর্তে অনুমতি দেওয়া হয়েছে যে এই ধরনের পোনা শুধুমাত্র নতুন পোনা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
মৎস্য অধিদফতর ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো, ভ্যানামি চিংড়ি চাষের দুটি পাইলট প্রকল্পের অনুমতি দেয়। খুলনার উপকূলীয় পাইকগাছা উপজেলায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) স্যালাইন ওয়াটার কেন্দ্রে এই প্রকল্প চালু করা হয়। মার্চ ২০২১ থেকে শুরু করে, প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে ১৩,৮৯৬ কেজি চিংড়ির প্রথম ব্যাচ সংগ্রহ করেছিল। প্রথম পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের পরে, মৎস্য অধিদফতর আরো ১১টি সংস্থাকে এই প্রজাতির চিংড়ি চাষের অনুমতি দিয়েছে। যার মধ্যে এমইউ সি ফুডস লিমিটেড, গ্রো টেক এগ্রিকালচার লিমিটেড এবং ফাহিম সি ফুড লিমিটেড পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে এই হাইব্রিড চিংড়ির চাষ শুরু করে।
হিমায়িত মাছ রফতানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে ভ্যানামি চিংড়ি চাষের অনুমতির দাবি জানিয়ে আসছে, কারণ বাংলাদেশের ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ির প্রজাতিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর মতো পশ্চিমা বাজারে মূল্য প্রতিযোগিতার ক্ষমতা হারিয়েছে। হিমায়িত মাছ বিশেষজ্ঞদের মতে, সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে বিশ্ব চিংড়ির বাজারে ভ্যানামি চিংড়ি শীর্ষস্থানীয় পণ্য। চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইকুয়েডর এবং মেক্সিকোসহ ৬০টিরও বেশি দেশ বৈশ্বিক চাহিদার অন্তত ৮০ শতাংশ পূরণ করে ভ্যানামি উৎপাদন করছে। তবে হিমায়িত চিংড়ির আন্তর্জাতিক চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ পূরণ করে বাংলাদেশের রফতানি। বাংলাদেশ শ্রীম্প ও ফিস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে এক সময় প্রায় ১০০টি হিমায়িত মাছের কারখানা ছিল এবং এক দশক আগেও এই সেক্টরটি রফতানি খাতের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল।
১ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৩ দিন ২০ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৩ দিন ২০ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৯ দিন ১৮ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১০ দিন ১৭ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১১ দিন ৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১২ দিন ৩ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে