মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের কড়া হুঁশিয়ারি ওবায়দুল কাদেরের দুই বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬ কে হচ্ছেন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান.? নন্দীগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ জনের জরিমানা ঝিনাইদহের উদয়পুর পবহাটি এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাফেজ ছাত্রকে বলাৎকারের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা নলছিটি কৃষি ব্যাংকে উৎসবমুখর পরিবেশে হালখাতা উদযাপন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মামলা,কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ তীব্র তাপদাহে নাকাল জনজীবন, সারাদেশের ন্যায় সুন্দরগঞ্জে বৃক্ষরোপণ করলো ছাত্রলীগ। জয়পুরহাটে ১৬ টি স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারি আটক রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিট স্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু। অবৈধ মাটি উত্তোলনের দায়ে অভিযুক্তকে লাখ টাকা জরিমানা বে-টার্মিনালের ৪টি টার্মিনালই বিদেশি বিনিয়োগে হবে - বন্দর চেয়ারম্যান মাতামুহুরি নদীতে নিখোঁজ সেই দুই জেলেকে মৃত উদ্ধার জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চশমা মার্কা ভোট চাই : ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জুনাইদ সালুয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদ উদ্দিন খান আর নেই নাগেশ্বরীতে চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ভেড়া বিতরণ চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরার ঝাঁক ঘিরতে গিয়ে ২ যুবক নিখোঁজ ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক-স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী আবারও টেকনাফে এসে পড়লো গুলি

প্রমত্ত পদ্মা নদীতে সাত সাঁতারুর দু:সাহসিক অভিযান

সংগৃহীত ছবি


নিউজ ডেস্ক : 


মেঘনা, যমুনা, তিস্তাসহ বাংলা চ্যানেল সাঁতার কেটে জয় করেছেন সাঁতারু আল আমিন আকিক। এবার ইচ্ছে হলো পৃথিবীর অন্যতম খরস্রোতা নদী পদ্মা সাঁতার কেটে পাড়ি দেবার। দু:সাহসিক এ অভিযানে সঙ্গী হলো আরও ছয়জন। মোট সাত সাঁতারুর প্রমত্ত পদ্মা নদী পাড়ি দেবার উত্তেজনায় ভরপুর সেই গল্প, প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছেন আল আমিন আকিক। 


পৃথিবীর অন্যতম খরস্রোতা নদীর মধ্যে পদ্মা নদী ৩য়। প্রথম দুটি হলো আমাজন ও কঙ্গো নদী।


আল আমিন আকিক বলেন, ‘এই নদীতে সাঁতার কেটে পাড়ি দেওয়ার কথা যাকেই বলেছি সেইই পাগল বলেছে। আর বলেছে জীবনের কি মায়া নেই? সব কিছু উপেক্ষা করে পদ্মা নদী সাঁতার কেটে পাড়ি দেবো এটাই ফাইনাল চিন্তা করি।’


‘কারণ ইতিপূর্বে আমি মেঘনা, যমুনা, তিস্তাসহ বাংলা চ্যানেল সাঁতার কেটে জয় করি, (টেকনাফ শাহাপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পযন্ত ১৬.১ কিলোমিটার সাগরের জলপথকে বাংলা চ্যানেল বলে)। তাহলে পদ্মা নদী কেন বাদ যাবে। তাই পরিকল্পনা শুরু করি সিনিয়র সুইমারদের সঙ্গে।’


‘গত ১৬ জুলাই পদ্মা নদীতে রেকি করি আমরা তিনজন। আমি, এরশাদ ভাই ও মনির ভাই, রেকি করে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিই ২৩ জুলাই পদ্মা নদী সাঁতার কেটে পাড়ি দেবো। সবার কাছে বলতে থাকি কে কে যাবে,তবে ঝুঁকি যার যার। কারণ এখানে সুইমিং করতে প্রয়োজন সুইমিং দক্ষতা, সাহস ও কৌশল।’


‘তাই শুধু মাত্র তাদেরকেই আমন্ত্রণ জানাই যাদের এর আগে বাংলা চ্যানেল অতিক্রম করার অভিজ্ঞতা আছে। টেকনাফ শাহাপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পযন্ত সাঁতার কেটে গেছে, এমন সাতজনকে পেয়ে গেলাম।’


ওই সাত সাঁতারুরা হলেন- হবিগঞ্জের ইরশাদ খান মোরশেদ, টাঙ্গাইলের বদর উদ্দিন, ঢাকার রোমান আবদুল্লাহ, বগুড়ার ফেরদৌস আলম, আমি কুমিল্লার শিক্ষার্থী আল আমিন আকিক, নরসিংদীর ছাত্র শুভ্র মাহমুদ কামাল ও ফেনির মনির হায়দার মনির। 




তিনি বলেন, ‘পদ্মা নদী ক্রসের জন্য রোড প্লানিং করি। নবাবগঞ্জে মৈনট ঘাট থেকে ২ কিলোমিটার উজানে বাহ্র ঘাট থেকে শয়তান খালী ঘাট ফরিদপুর পর্যন্ত। যেখানে ১২ কিলোমিটার রাস্তা সুইমিং করতে হবে। টিম তৈরি এখন প্রশাসনের অনুমতিও দরকার। সেই জন্য ক্রীড়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস আই এম ফেরদৌস আলম ভাইকে আমাদের পরিকল্পনা জানাই। তিনি শুনে আমাদের সাথে যেতে রাজি হয়ে গেলেন। এখন যেই ভাবনা সেই কাজ।


২৩ জুলাই সবাই গুলিস্তান মাজারে সামনে এক হয়ে যাত্রা শুরু করি মৈনট ঘাট। ঘাটে যাওয়ার আগেই তুমুল বৃষ্টি, চিন্তায় কপাল সবার কুঁচকে গেছে। একেতো খরস্রোতা নদী তার উপর ঝড়বৃষ্টি। কিছুক্ষনের মধ্যে একটু স্বাভাবিক হলো আকাশ। সকাল ৯ টায় শুরু করার কথা থাকলেও সুইমিং শুরু করি ঠিক ১২.২৫ মিনিটে।’


‘এ যেন এক ঐতিহাসিক যাত্রা! কারণ এর আগে এমন সাহসিকতার পরিচয় কেউ দেইনি। আমার বুক ধরফড় করছিলো। যেকোনো অপ্রত্যাশিত অবস্থা এড়াতে উদ্ধার করার জন্য সঙ্গে সাপোর্ট বোট ৩টি ও ১ টা স্পিড বোট রাখা হয়। বলে রাখা ভালো এগুলো সবই আমাদের অর্থায়নে করা হয়। কারণ কোন স্পনসর রাজি হয়নি। প্রথম ৬ কিলোমিটার সুইমিং পরিকল্পনামাফিক হচ্ছিল।’


‘আগে থেকেই বলা ছিলো প্রচন্ড স্রোত এবং উল্টো দিক থেকে ঢেউ আমাদের বড় বাধা, সেগুলো অতিক্রম করেই চলছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ২০-৩০ সেকেন্ডের মধ্যে একটা ঘূর্ণিপাকে পরে যাই আমার ৫ জন। সত্যি বলতে তখন ভয় পেয়েছিলাম খুব। কিন্তু সাহস হারায়নি, মনে সাহস যুগিয়ে সুইমিং করতে থাকি। কিন্তু সবাই একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করলেও থাকা সম্ভব হয়নি। ৫জন পাঁচ দিকে চলে যাই। রেসকিউ বোট ৪টি থাকা সত্ত্বেও সেই মূহুর্তে সবাই সবার জন্য দুশ্চিন্তা করছিল। কিন্তু স্পিড বোট থাকায় সবার কাছে সবার খবর পৌঁছাতে সহজ হয়ে যায়। আমাদের রোড প্লানিং অনুযায়ী আবার গাইড করেছিলো রিসকিউয়ার টিম। কিছু সময় বাদে ৩-৪ কিলোমিটার সুইমিং করার পর আকাশ মেঘলা হয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। ঠিক ঐ সময়টা আমি একা হয়ে পরি, দূরের একটা নেটওয়ার্ক টাওয়ার আমার লক্ষ্য ছিলো। প্রচন্ড পরিমাণে স্রোত আর ঢেউ অতিক্রম করছিলাম আমি। কিছুক্ষন পর পর স্পিড বোট এসে আমাকে দেখে যেত। পদ্মার রূপ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছিল, মনে কিছুটা ভয় কিছুটা আতঙ্ক কাজ করে। সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে পদ্মা নদীতে।’




‘আলহামদুলিল্লাহ আমার সবাই প্রমত্তা পদ্মা নদী সাঁতার কেটে পাড়ি দিলাম সুস্থ ও সুন্দর ভাবে। শয়তান খালী ঘাটে ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয় আমাদের।’


এই স্বপ্নজয়ী সাঁতারু বলেন, ‘১২ কিলোমিটার সুইমিং করতে আমার ব্যক্তিগত সময় লেগেছিলো ২ ঘন্টা ৫৭ মিনিট। সবাই ৩ ঘন্টা থেকে ৩ ঘন্টা ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। বলে রাখা ভালো এখানে ১ম-২য় নির্বাচন করা হয়নি। পাড়ি দেয়াই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। কি ছিলো না পদ্মা নদীতে, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে খরস্রোতা ঢেউ, মেঘলা আকাশ, কিঞ্চিৎ ভয় সব সবকিছুই ছিল এই অভিযানে। এই সুইমিং এর আয়োজন করে অ্যাডভেঞ্চার সুইমিং ট্যুরিজম অফ বাংলাদেশ। এখন স্বপ্ন দেখি ইংলিশ চ্যানেল জয় করার।’

আরও খবর


deshchitro-661179d35653a-060424103531.webp
শিবচরে সরকারি প্রকল্পের ল্যাপটপ প্রদান

১৮ দিন ৬ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে