সেনবাগ নবীপুরে মিথ্যা মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সুন্দরবনে দস্যু আতঙ্ক, কোস্ট গার্ডের অভিযানে বনজীবিদের স্বস্তি ববিতে ঈদের ছুটি শেষে হল চালু হলেও চালু হয়নি হলের ক্যান্টিন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা নাসিরনগর বিআরডিবি‘র চেয়ারম্যান আমিরুল হোসেন চকদার ও ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ভূইয়া নির্বাচিত সুন্দরবনে নতুন দস্যু আতঙ্ক, কোস্ট গার্ডের সাঁড়াশি অভিযানে জেলেদের স্বস্তি ববিতে ঈদের ছুটি শেষে হল চালু হলেও চালু হয়নি হলের ক্যান্টিন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা রূপসী ম্যানগ্রোভ পিকনিক স্পট পর্যটন কেন্দ্রটি ইছামতি ভেড়ি বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ সাতক্ষীরা ভোমরা কাস্টমস্ সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকিম তিন দিনের রিমান্ডে নন্দীগ্রামে প্লাস্টিকের মোড়ক ব্যবহার করে জরিমানা গুনলেন ব্যবসায়ী নন্দীগ্রামে কৃষকদলের সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে শিক্ষককে গণপিটুনি। বিএনপি অফিস অগ্নিসংযোগ ও হামলা, সাবেক এমপি সারোয়ার কবিরের জামিন নামঞ্জুর বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস মৌলভীবাজারে প্রধান শিক্ষক অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি মোংলায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সিলেটের জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া শামীমাবাদ মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদীসের উদ্বোধন ও ইফতেতাহী দরস সম্পন্ন দুপুর পযর্ন্ত কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত অপারেশন ডেভিল হান্ট, শান্তিগঞ্জে যুবলীগ নেতা শহিদ মিয়া গ্রেফতার

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া: জাতিসংঘ

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 24-04-2024 10:41:06 am

আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানিজনিত ঝুঁকির কারণে ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল হয়ে উঠেছে এশিয়া। সম্প্রতি এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ার প্রেক্ষাপটে এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।


মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) নতুন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।


প্রতিবেদনে ডব্লিউএমও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এশিয়ায় প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রধান কারণ ছিল বন্যা ও ঝড়। অন্যদিকে তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও তীব্র হয়েছে।


ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।


গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে- যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।


মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।


ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।


গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।


তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।


জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।


এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।


সূত্র: এএফপি