রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অন্ত:হল এথলেটিকস প্রতিযোগিতায় দ্রুততম মানব তামিম আহমেদ ও মানবী নিশাত তাবাচ্ছুম।
গত মঙ্গলবার ও বুধবার (২৮ ও ২৯ মে) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অন্ত:হল এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে ১৯টি ইভেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় দ্রুততম মানব ও মানবী হন যথাক্রমে তামিম আহমেদ ও নিশাত তাবাচ্ছুম।
তামিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং নিশাত তাবাচ্ছুম বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রতি বছর এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দ্রুততম মানব ও মানবী ঘোষণা করা হয়।
এ অর্জনের বিষয়ে দ্রুততম মানবী নিশাত তাবাচ্ছুমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ছোট বেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আমার ছিল প্রবল আগ্রহ, আমি প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় থেকেই স্কুলের বিভিন্ন খেলার ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতাম এবং ভালো ফলাফল করতাম, একজন মেয়ে হওয়া সত্বেও আমি নানান বাধা পেরিয়ে আমার ক্রীড়া চর্চা অব্যাহত রাখি, স্নাতক পর্যায়ে এসে আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সুযোগ পাই, এ সময় ক্রীড়া নিয়ে উচ্চ শিক্ষা ও ক্রীড়ার প্রতি আরো মনোযোগী হই। নিয়মিত প্র্যাকটিস ও কঠোর পরিশ্রম আমার প্রাপ্তির প্রধান কারণ, অবশ্য মনোবল আমাকে আরো সাহায্য করেছে সফলতার পেছনে। আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হয়তো এটিই আমার শেষ ইভেন্ট! আর আমি আমার এই শেষ ইভেন্টকে স্মরণীয় রাখতে চেষ্টা করেছি।
দ্রুততম মানব তামিম আহমেদ বলেন, এলাকায় ভালো অ্যাথলেটিক্স খেলার সুবাদে শামীম ভাই ৩৬তম জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স খেলার জন্যে পাঠায়। রেজাল্ট মোটামুটি ভালো হয়। পরবর্তীতে তার অনুপ্রেরণাতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। এই বিভাগের সংস্পর্শে এসে আমি নিজেকে তুলে ধরার একটা সুযোগ পাই। প্রতিযোগিতার মাঠে নিজেকে অনেক দুর্বল মনে হচ্ছিলো। জন স্যার আমাকে মাঝে মাঝে এসে বলেছেন তুই পারবি, তোকে পারতেই হবে। এখন দ্রুত মানব হয়ে ভালো অনেক ভালো লাগছে। আমার জীবনের সংকট ছিলো। তবে বরাবরই মা বাবার সাপোর্ট আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমার এই অর্জন আমার মা বাবাকে উৎসর্গ করলাম।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ত:হল এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পুরুষ ক্যাটাগরিতে 'শাহ মখদুম হল' এবং নারী ক্যাটাগরিতে 'রোকেয়া হল'। একটি হলের মধ্যে সর্বোচ্চ পদক প্রাপ্ত এ্যাথলেটদের সংখ্যা অনুযায়ী বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। সে বিবেচনায় চ্যাম্পিয়ন হয় উক্ত হলো।
• সাজ্জাদ হুসাইন/ইয়াসিন আরাফাত বিজয়
১১ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে