হামিদের বিদেশ গমন ও আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন আইন উপদেষ্টা ভারতের ৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান জুমার পরও চলবে: হাসনাত ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ইলিয়াস কাঞ্চনের জেপিবির শার্শায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৩ দুর্যোগ বিষয়ক মহড়া সাগর পাড়ের জীবন যুদ্ধ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ আগুন সাবেক মেয়র আইভি গ্রেফতার সাতক্ষীরায় বিএসটিআই অনুমোদিত লাইসেন্স না থাকায় দুই ড্রিংকিং ওয়াটার মালিককে জরিমানা খুবিতে প্রফেসর দীপক কামাল মেমোরিয়াল স্কলারশিপ পেলন ১৬ শিক্ষার্থী মানবতার সেবায় রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা অতুলনীয় - চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ. লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ১৬টি টাওয়ারসহ পাইপ ধ্বংস, ১টি ট্রাক ও ২টি মাহিন্দ্র জব্দ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, অভিযোগ পদবঞ্চিত নেতাদের কৃষ্ণনগরে কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নিয়মিত ক্রু মিটিং বাস্তবায়ন করায় পুরস্কার পেলেন বাকৃবির রোভার স্কাউট লিডার প্রথমবারের মতো ইন্টার্নশিপ পেল বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আশাশুনিতে অঙ্কনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সম্পদ ও ঝুঁকি চিহ্নিত করণ কর্মশালা পীরগাছায় ভাবীর হোটেলে ১৯৯টাকায় পাওয়া যাবে একটি মোটরসাইকেল ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির

কোটা ব্যবস্থা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অন্তরায়।

মোঃ নাজমুল হাসান - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 06-06-2024 07:30:49 am

লেখক: মোঃ নাজমুল হাসান

বর্তমান ২০২৪ সাল, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর‌ কেটে গেছে। আধুনিকতার এই সময়ে যখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণাসহ বিভিন্ন সূচকে আমরা ঈর্ষণীয় গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যখন স্বাধীনতা লাভ করি তখন অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। 

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সেই সময়ে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ হয়েও পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অফিসার পর্যায়ে নিয়োগে ৯০% পশ্চিম পাকিস্তান এবং শুধু ১০% পূর্ব পাকিস্তান। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে শতকরা ৮৫% পশ্চিম পাকিস্তান এবং ১৫% পূর্ব পাকিস্তান থেকে নিয়োগ করা হতো। তাছাড়াও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ন্যায়বিচার, সুশাসন, শোষণ-বঞ্চনা ইত্যাদি এইসব বৈষম্য আমরা মেনে নেই নি। আমরা চেয়েছিলাম সমতা। তার জন্যই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা করি। এখন লাখো মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের চাকরিতেই হরেক রকমের কোটা। তাই বর্তমান সামাজিক অবস্থান থেকে মোটাদাগে একটি প্রশ্ন থেকেই যায় আদো কি আমরা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি?


কোটা পদ্ধতি ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলের। কিন্তু তা ছিল সীমিত পর্যায়ে উচ্চতর পদেই আর সীমিত আকারে। বাংলাদেশে কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের সাময়িক সুবিধার জন্য। কিন্তু পরে তাদের নাতি-নাতনিদের এর আওতায় নিয়ে আসা হয়। পর্যায়ক্রমে চাকরি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও কোটার পরিধি বিস্তৃত হয়েছে। সরকারি চাকরিতে যেমন পোষ্য, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, নারী, উপজাতিসহ নানা কোটা পরিলক্ষিত হতো।

গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এর ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে।

শিক্ষাই শক্তি, শিক্ষাই মুক্তি- অর্থাৎ দেশের অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে শিক্ষা। সেই শিক্ষা লাভ করে যখন একজন শিক্ষার্থী চাকরির পরীক্ষায় বসে তখন সরকারি চাকরিতে কোটা ও মেধার অনুপাত ৫৬ বনাম ৪৪ শতাংশ। কোটার বরাদ্দ যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পোষ্যদের ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, আদিবাসী ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। ফলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুযোগ পান মাত্র ৪৪ শতাংশ আর ৫৬% শুধু কোটার ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, ‘পৃথিবীর এমন কোনো দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে কোটা মেধাকে ছাপিয়ে যেতে পারে। আমরা পারছি। অর্থাৎ উল্টো যাত্রায় আমরাই প্রথম।’ 

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে ভাবা যায় এটা কী পরিমাণ বৈষম্য! যেকোন চাকরি পরীক্ষায়, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য কাউকে সুযোগ দেয়াকে আমি সম্পূর্ণরূপে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক বলে মনে করি।

তবে বাংলাদেশের সব নাগরিকের অধিকার রক্ষা, বৈষম্য নিরসন ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নারীসমাজ, অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠী, দুর্গম এলাকার জনগণের জন্য শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে নির্ধারিত যোগ্যতার মাপকাঠি কিছুটা শিথিল করে এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন সংরক্ষিত রেখে বিশেষ বিধান রাখা উচিত। 

তাই এই কোটাব্যবস্থা সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। যে বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়ার জন্য একাত্তর সালে ৩০ লাখ শহীদ জীবন দিয়েছেন, বৈষম্যের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসা কোটাব্যবস্থার জালে পড়ে তার আজ নাভিশ্বাস উঠেছে। এই দুরবস্থার থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের এমনভাবে কোটাব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করতে হবে। এতে করে মেধাবীরা অর্জন করবে তাদের যোগ্য স্থান। তারাই এগিয়ে নেবে দেশকে। তাই দেশের কল্যাণার্থে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মোঃ নাজমুল হাসান: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

Email: pressnazmulbd@gmail.com

আরও খবর
deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

২১ দিন ৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে




deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

৩২ দিন ৯ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে


67f00c4be906d-040425104355.webp
অবহেলার পাত্র নাকি সভ্যতার স্থপতি?

৩৪ দিন ১৭ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে


deshchitro-67e77b5f5d7ad-290325104727.webp
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা

৪১ দিন ৫ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে


67e68cb231674-280325054906.webp
ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বার্তা

৪১ দিন ২২ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে