লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে জাতিসংঘ মহাসচিব আশাশুনিতে রোজা ও যাকাতের তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে যায়দিনের ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন কমলগঞ্জে একতা সমাজ কল্যাণ পরিষদের ইফতার সামগ্রী পেয়ে খুশি শতাধিক পরিবার নাগরপুরে তামাক ক্ষেত থেকে ১ মহিলার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান নার্গিস বেগমকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন শার্শা উপজেলা বিএনপি কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লাখাইয়ে সাংবাদিক এমএ ওয়াহেদ এর মায়ের ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক। জয়পুরহাটে অপ চিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণের অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শাজাহানপুরে শারিরীক প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের স্বীকার পুতিন যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘ছলনা’ করছেন: জেলেনস্কি আজ পৃথিবীর অন্যতম বড় ইফতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব কে নিয়ে কক্সবাজার প্রধান উপদেষ্টা কুবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস রাজবাড়ীতে ৭৫ পুরিয়া হেরোইনসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার । সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৮ কেজি হরিণের মাংস সহ আটক ১ যমজ সন্তানদের পরিবারের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শ্যামনগর পৌরসভার জন্মনিবন্ধন জটিলতার সমাধান করলেন ইউএনও রণী খাতুন শ্যামনগর বনশ্রী শিক্ষা নিকেতনের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলীর মৃত্যু

বিলুপ্তির পথে প্রাকৃতিক শিল্পী বাবুই পাখি

ছোট্ট পাখি বাবুই। বিলের ধারে বা গ্রামীণ সড়কের পাশে তালগাছ ঘিরেই তাদের বসবাস। একসময় বাবুই পাখির বাসা আর কিছিরমিছির কলবর জুড়েই থাকবো গ্রাম-বাংলার আবহমান জনপদ। তবে কালের বিবর্তনে আজ প্রায় বিলুপ্ত প্রাকৃতিক শিল্পের কারিগর এই বাবুই পাখি ও তার বাসা।
কবি বলেছেন-
"বাবুই পাখিরে ডাকি’ বলিছে চড়াই,
কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই?
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে!

বাবুই হাসিয়া কহে, সন্দেহ কি তায়!
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
পাকা হোক্, তবু ভাই, পরের ও-বাসা;
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর—খাসা!"
বাসা তৈরিতে যার নিপুণ কাজ করে সেইতে শিল্পি, আর সে তো শিল্পের বড়াই করতেই পারে। কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী কবিতাটির নায়ক গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাবুই পাখি আজ বিলুপ্তির পথে। তাল গাছের স্বল্পতা, জলবায়ুর পরির্বতন ও প্রকৃতিক বিপর্যয়ের কারণেই এমনটি হচ্ছে। এক সময় গ্রামাঞ্চলে তালগাছের পাতায় পাতায় দেখা যেত বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা; এখন আর গ্রামের পথ ধরে অনেক সময় হাঁটলেও বাবুই ও তার বাসা চোখে মেলা ভার।
বাবুই সাধারণত খড়, ঝাউ, তালপাতার আঁশ ও কাশবনের আঁশ দিয়েই উঁচু তালগাছের ডগার মাথায় ঝুলন্ত পাতায় এবং খেজুরগাছে বাসা বাঁধে। বাসা বানাতে বাবুই খুবই পরিশ্রম করে থাকে। ঠোঁট দিয়ে বনজাতীয় ঘাস ও কাশবনের চিকন চিকন আস্তরণ দিয়ে বাসা বোনে বাবুই। বাসা পেট দিয়ে ঘষে অর্থাৎ পলিশ করে মসৃণ করে থাকে। শক্ত বুননের সাথে শিল্পের অনন্য সমন্বয় বাসাকে দেখতে খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলে। তার বাসা এতটাই মজবুত যা প্রবল বাতাসেও ছিঁড়ে পড়ে না।
প্রাকৃতিক শিল্পি বাবুই পাখি বাসা তৈরির শুরুতে বাসার নিম্নমুখে দু’টি গর্ত করে। কিন্তু বাসা তৈরি সম্পূর্ণ হলে এক দিকের গর্ত বন্ধ করে তাতে ডিম রাখার স্থান তৈরি করে। আর অপর দিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ তৈরি করে। বাসা তৈরির কাজের একপর্যায়ে পুরুষ বাবুই পাশের বাবুইয়ের বাসায় গমন করে সঙ্গীর খোঁজে। সঙ্গী পছন্দ হলে পুরুষ বাবুই পাখি স্ত্রী বাবুই পাখিকে সঙ্গী বানানোর জন্য ভাব-ভালোবাসা নিবেদন করে। সেই সাথে বাসা তৈরির কাজ অর্ধেক হতেই স্ত্রী বাবুইকে কাক্সিক্ষত বাসা দেখায়। কারণ বাসা পছন্দ হলেই কেবল স্ত্রী বাবুই সম্পর্ক গড়ে তোলে। স্ত্রী বাবুই পাখি বাসা পছন্দ হলে বাকি কাজ শেষ করতে পুরুষ বাবুই পাখির সময় লাগে মাত্র চার থেকে পাঁচ দিন।
স্ত্রী পাখির প্রেরণায় পুরুষ বাবুই পাখি মনের আনন্দে বিরামহীনভাবে বাসা তৈরির কাজ শেষ করে। একটি পুরুষ বাবুই পাখি একটি মৌসুমে প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি বাসা তৈরি করতে পারে। তবে প্রেমিক বাবুই পাখি যতই ভাব-ভালোবাসা প্রকাশ করুক না কেন প্রেমিকা বাবুই পাখি ডিম দেয়ার সাথে সাথে প্রেমিক বাবুই আবার সঙ্গী খোঁজার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
মাত্র ১৫-১৬ বছর আগেও গ্রামের তালগাছে চোখে পড়ত বাবুই পাখির বাসা। বাবুই পাখির গোশত সুস্বাদু বলে শিকারিদের সেরা তালিকায় বাবুই। নির্বিচারে তালগাছসহ বাবুই পাখির বাসা বানানোর গাছ কাটায় বসবাস উপযোগী পরিবেশ কমেছে। কীটনাশকের অবাধ ব্যবহার, শিকারিদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবেই আজ এসব পাখি বিলুপ্তির পথে বলে গবেষকদের মত। সাধারণত তিন প্রজাতির বাবুই দেখা যায়। দেশী, দাগি এবং বাংলা। তার মধ্যে দাগি এবং বাংলা বাবুই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে দেশী বাবুই এখনো কিছু কিছু চোখে পড়ে।
পরিবেশবিদেও মতে, শুধু বাবুই পাখির শৈল্পিক নিদর্শন টিকিয়ে রাখতে নয়; বরং আমাদের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতেই বাবুইকে টিকিয়ে রাখতে হবে। বাবুইসহ অন্যান্য প্রাণী ও পাখি যখন পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তখন এই পরিবেশ যে দিন দিন মানুষের জন্যেও অনুপযোগী হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রাণীবিদরা বলছেন, এখনো কিছু জায়গায় বাবুই পাখিসহ অন্যান্য পাখি দেখা যায়। তবে সবাইকে নিজ এলাকার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তাহলেই কেবল বাবুইসহ অন্য পাখি ও প্রাণি সংরক্ষণ সম্ভব।

Tag
আরও খবর

67d188677ba12-120325071311.webp
ঈদের পোশাক বাজারে লাগামহীন দাম

২ দিন ১ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে




deshchitro-67ca00e5413bc-070325020909.webp
মেডিক্যাল ডায়াগনস্টিক ফি কমানো জরুরি।

৭ দিন ১৮ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে


67c99e016775f-060325070713.webp
মাটি দূষণ রোধ করা প্রয়োজন

৮ দিন ৫ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে


deshchitro-67c71dbaad111-040325093522.webp
Health Benefits of Fasting from a Medical Perspective

৯ দিন ২৩ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে


67c681e4e17a8-040325103028.webp
রমজান মাসে যে আমলে জীবনের গুণাহ মাফ হয়

১০ দিন ১০ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে