সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা সহ ৪ দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হল ও বিভিন্ন মেসের শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোডের সামনে এসে জড়ো হন। পরে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। সেখানে এখন অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না,’ ‘১৮র হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’ ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘কোটা বাতিল হোক এমনটা আমরা চাই না। কারণ, কোটার বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ আছে। তেমন সংবিধানে এটাও উল্লেখ আছে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকবে। সমাজের দৃষ্টিতে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয় তাদেরকে কোটার আওতাভুক্ত করা ঠিক নয়। আমরা চাই, অতিদ্রুত কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হোক।’
শিক্ষার্থীরা ৪টি মৌলিক দাবি নিয়ে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
দাবিসমুহ:
১. ২০১৮ সালের পরিপূর বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে; কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে।
২. ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। যেমন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
৩. প্রতি জনশুমারির সাথে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনঃমূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাতান্ত্রিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, ‘একটি প্যানেল গঠনের মাধ্যমে আমরা ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে সংস্কার করে ১০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, কোটাধারী শিক্ষার্থীরা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবহার করলে চাকরিতে আর কোটা ব্যবহার করতে পারবেন না। কোটায় যদি কোনও যোগ্য পার্থী না পাওয়া যায় তাহলে মেধা তালিকা থেকে তা পূর্ণ করতে হবে। আমাদের এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
এদিকে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল থাকছে। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
এসময় পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর কোটা নিয়ে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। একইসাথে রাজপথে আন্দোলন করে সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করা যায় কি না- সেটিও জানতে চান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে, গত ৯ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
১০ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে