আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামে মুস্তাকিম
কারিগরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন পূর্বক ময়নাতদন্তের দাবীতে মানববন্ধন
কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে আশাশুনির চাম্পাফুল স্কুল
মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
গোদাড়া
গ্রামের এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে দীর্ঘ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মৃত
মুস্তাকিম কারিগরের চাচাতো ভাই গোলাম রসুল, নানা ইব্রাহিম খলিল, প্রতিবেশী
আব্দুল আলিম প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, মুস্তাকিম কারিগর একজন মেধাবী কলেজ
পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিলো। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। থানা পুলিশকে
না জানিয়ে মুস্তাকিমের লাশ তড়িঘড়ি করে তার পিতা রাজ্জাক কারিগর ময়নাতদন্ত
রিপোর্ট ছাড়াই দাফন করেছেন।
এনিয়ে স্থানীয় একাধিক
পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলেও মুস্তাকিম কারিগরের মৃত্যুর গুঞ্জনের
কোন সমাধান করতে পারেনি থানা পুলিশ। নিহত মুস্তাকিম কারিগরের চাচাতো ভাই
গোলাম রসুল বাদী হয়ে নিহত মুস্তাকিমের পিতা আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রী
আসমা খাতুন পারুলকে আসামী করে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী আদালত ০৮ (আশাঃ) এ একটি
মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্র ধরে বক্তাগণ বলেন,
গোদাড়া গ্রামের মেরাজ আলী কারিগরের ছেলে আলকেছুর রহমান ইতিপূর্বে নিহত
মুস্তাকিম কারিগরের মাতা ময়না খাতুনকে হত্যা করতে, আলকেছুর রহমান,
মুস্তাকিমের পিতা আব্দুর রাজ্জাক কারিগরকে সহায়তা করেন। সেই থেকে রাজ্জাক
কারিগরের পরিবারের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে মিশে চলে আলকেছুর রহমান। পরে
রাজ্জাক কারিগরের ২য় স্ত্রী পারুলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান তিনি।
যা মুস্তাকিম কারিগর দেখে ফেলে। এরপর থেকে শুরু হয় মুস্তাকিম কারিগরকে
হত্যার পরিকল্পনা। মুস্তাকিম তার নিজের জীবনের শঙ্কার বিষয়টি বুঝতে পারে।
বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজনকে জানালেও শেষ রক্ষা হয়নি। বক্তাগণ, নিহত মুস্তাকিম
কারিগরের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর দাবী জানান। একই
সাথে এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী
জানান।