নরসিংদীর কারাগারে হামলার পর সেখানকার আট শতাধিক কারাবন্দী পালিয়ে গেছে বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিকাল পৌঁনে পাঁচটার দিকে হাজার হাজার মানুষ নরসিংদী কারাগারে হামলা চালায়। এরপর তারা কারাগারের দরজা ও লকআপ ভাঙ্গতে শুরু করলে ৮২৬ জন কারাবন্দী পালিয়ে যায়।
এদের মধ্যে দুজন জেএমবি নারী কয়েদি এবং সাত জন আনসার আল ইসলামের কয়েদি ছিল। এছাড়া চার শতাধিক বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বন্দী নেতাকর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারাগারের ভেতরে এই তাণ্ডব চলে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর জেল সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
“ভেতরের অবস্থা ভয়াবহ ছিল। তারা যা পাচ্ছিল তাই ভাঙচুর করছিল। আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছিলাম। পরে কয়েদীরাই আমাদের সাহায্য করে পালাতে। আমরা কোনভাবে পোশাক বদলে সিভিল ড্রেসে বের হয়ে আসি। আর কতোক্ষণ থাকলে আমাদের মেরেই ফেলতো,” তিনি বলেন।
মি. আজাদ জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই নরসিংদীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমাবেশ, মিছিল চলছিল।
এক পর্যায়ে কয়েক হাজার মানুষ বিকেল চারটার দিকে ভেলানগর এলাকায় জেলখানা ভবনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
এসময় তাদের হাতে লাঠিসোটা, হকিস্টিক, রাম দা, পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল। এক পর্যায়ে পৌনে পাঁচটার দিকে তারা হাতুড়ি দিয়ে মূল ফটকের লক ভেঙে ফেলে ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে।
এসময় পুরো কারাগার জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্বৃত্তরা ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং জেল কর্মীদের থেকে তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর ভেতরে ঢুকে তারা একে একে লক-আপ ভাঙতে শুরু করে।
৮ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে