বর্ষায় ছাতা মেরামতকারিদের কদর বেড়েছে
রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি ঃ বর্ষায় ছাতা মেরামতকারিদের কদর বেড়েছে। ছাতা মেরামতকারিদের দোকানে লাইন দিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সকল হাটবাজারে এদের চাহিদা রয়েছে। সাধারণত বৃষ্টি হলে ভীড় বেশি দেখা যায় ছাতা মেরামতকারিদের দোকানে। এছাড়া রৌদ্র বেশি দেখা গেলেও অনেকে ছাতা ব্যবহার করে থাকেন।
উপজেলার নকিপুর হাটবাজারে সরজমিনে দেখা যায় ৭ থেকে ৮ জন ছাতা মেরামতকারির দোকানে ভীড় লেগেই আছে। তবে যাদের চাহিদা বেশি সেখানে ভীড়ও বেশি। আবার অনেকে কাজের চাপের কারণে ছোট ছোট কাজ করছেন না। আবার কাজের চাপের কারণে ছাতা মেরামতকারির দোকানে সিরিয়াল মেনটেইন করতে হচ্ছে।
নকিপুর বাজারে ছাতা মেরামতকারি আবুল হোসেন বলেন তিনি চল্লিশ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন। এই কাজটার উপরে এক প্রকার সংসার চলে। তিনি বলেন বৃষ্টি বেশি হলে কাজের চাপ বেড়ে যায়। লাইনে লোক থাকে ছাতা মেরামত করার জন্য। ছোট ছোট কাজ তিনি করার সময় পাননা। ছাতার ত্রুটি অনুপাতে টাকার পরিমান নির্ধারণ করে থাকেন। তবে তিনি বলেন মেরামতের মজুরি হিসাবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা নিয়ে থাকেন। আর নতুন কোন কিছু ছাতার লাগানো হলে তার দাম পৃথকভাবে পরিশোধ করতে হয়। ছাতা মেরামত করতে আসা নকিপুর গ্রামের শাহিনুর ইসলাম বলেন ছাতা দিয়ে লাইনে আছি তার হাতের কাজ শেষ হলে আমার ছাতায় হাত দিবেন বলে জানিয়েছেন। মেরামতকারি জানান দৈনিক ছাতা মেরামত করেন ৩০ থেকে ৪০টি।
নকিপুর বাজারের ছাতা মেরামতকারি সোনামুগারি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন তিনি প্রতি হাটবারে বসের রাসেল স্কয়ারের সামনে। এখানে প্রতি হাটবারে ৩০ থেকে ৪০টি ছাতা মেরামত করেন। তিনি ছোট বড় সব ধরনের কাজ করেন। মজুরি হিসাবে সর্ব নিম্ন ১০ টাকা আর ছাতার ত্রুটি অনুযায়ী ৪০ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে থাকেন। বহুদিন যাবত এ পেশার সাথে জড়িয়ে আছেন বলে জানান।
শ্যামনগর ডাক বাংলা মোড়ে ছাতা মেরামতকারি আব্দুল জানান তিনি পেশায় এক ছাতা মেরামতকারি এর সাথে চাবি ঠিক করেন। মূল পেশা ছাতা মেরামতকরা। বহুদিন যাবত এ পেশায় জড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন বর্ষা হলে কাজ বেশি হয় আর রৌদ্র বেশি হলে কাজ হয়। ছাতার কিছু নতুন মালামালাও রেখেছেন প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে উপকরণের দাম ছাড়াও মজুরী আলাদা নিয়ে থাকেন। দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি বা তার কম কোন সময়ে ছাতা মেরামত করেন। তিনি বলেন বর্ষা হলেই তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় সিরিয়াল মেনটেইন করতে হয়।
এদিকে ছাতা ব্যবসায়ীরা জানান বর্ষাকালে তাদের ছাতা বিক্রী বেড়ে যায়। পূর্নিমা কসমেটিক্স এর মালিক গিরিন্দ্র বলেন বর্ষাকালে ছাতা বেশি হয় এবং এ সময়ে বিভিন্ন ডিজাইনের ছাতা তারা দোকানে বিক্রীর উদ্দেশ্যে দোকানে মজুত রাখেন। প্রিন্স ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক জানান বর্ষাকালে ফল্ডিং ছাতা বেশি বিক্রী হয়। এই ছাতার মূল্য তিনশত পঞ্চাশ বা চারশত টাকা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানির ছাতার মূল্য ভিন্ন রকমের।
ছবি- শ্যামনগর নকিপুর ছাতা মেরামতকারীর দোকানে লাইনে লোক দাঁড়িয়ে ছাতা মেরামতের অপেক্ষায়।
১২ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে