সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া বিভিন্ন মালামালসহ বেশকিছু অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে উপজেলা সদরের দাদপুর ও চন্ডিপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে তিনটি বন্দুক একটি এসএমজি ছাড়াও পাঁচটি ম্যাগজিন ও ৬২ পিছ গুলি উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে উপজেলার বাদঘাটা ও গোপালপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাঁচটি মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। গত ৫ মে রাতে একদল দুস্কৃতিকারী দেয়াল ভেঙে ভিতরে প্রবেশের পর শ্যামনগর থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় জীবন নিয়ে পুলিশ সদস্যরা কোনমতে পালিয়ে যাওয়ার পর ঔ দুস্কৃতিকারীরা থানার মালখানা থেকে পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্রের পাশাপাশি স্থানীয়দের জমাকৃত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় থানা ভবনের প্রতিটি কক্ষে অগ্নিসংযোগের পর দুস্কৃতিকারীরা গোটা ভবনসহ অফিসার ইনচার্জের বাসভবন ও পুলিশ সদস্যদের মেসে ব্যাপক লুটপাট চালায়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান লুটহওয়া আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফিরিয়ে দিতে দু’দিন ধরে এলাকাজুড়ে মাইকিং হচ্ছে। পুলিশের আহবানে সাড়া দিয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় সেসব অস্ত্র ও গুলি রেখে যাচ্ছে।
পুলিশের চৌকশ এ অফিসার আরও জানান সরকারি এসব আগ্নেয়াস্ত্র হজম করা সম্ভব হবে না। বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে সেসব অস্ত্র ও গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান একটি ফ্রিজ ও আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েকটি মটরসাইকেলেরও সন্ধান মিলেছে।
এদিকে ঘটনার তিনদিন পরও শ্যামনগরে কোন পুলিশের উপস্থিতি মেলেনি। শুধুমাত্র উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো জমা নেয়ার জন্য পুলিশের কয়েকজন সদস্য বৃহস্পতিবার শ্যামনগর থানায় পৌছায়।
উল্লেখ্য গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে একদল দুস্কৃতিকারী দেয়া ভেঙে ভিতরে যেয়ে পুরিশের দু’টি ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় প্রান নিয়ে পালিয়ে যেতে পারলেও পুলিশের ফেলে যাওয়া অসংখ্য অস্ত্রসহ পর্যাপ্ত গুলি এবং মুল্যবান সব জিনিপত্র লুট হয়। সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছেদ লুট করে দুষ্কৃতিকারীরা।
১ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
২১ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে