স্বৈরাচারীর ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা মনোনীত আন্তর্জাতিক মাফিয়া ডি পি ওয়ার্ল্ড কে চট্টগ্রাম বন্দর এন সি টি হস্তান্তরের প্রতিবাদে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৯ই মে (শুক্রবার) বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম বন্দর পোর্ট কলোনি ১২ নং রোডে শহীদ মিনার সামনে সভা অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডক শ্রমিকদলের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন, সাধারণ সম্পাদক তসলিমা হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় শ্রমিক সম্পাদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ এম নাজিম উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়বাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন।
বিশেষ বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম বন্দর সংযুক্ত শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী কাজী শেখ রুল্লাহ বাহার। আরও বক্তব্য রাখেন বন্দর শ্রমিক দলের শ্রমিক নেতা ইব্রাহিম খোকন, স্টাফ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, স্টাফ হাউজ গেইং আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, লাইসেন্স গেইং এর সভাপতি ইকবাল হোসেন, বন্দর শ্রমিক দলের সুমন, মোঃ হুমায়ুন, সামসু মিয়া টুকু, ডক শ্রমিক দলের নেতা আবুল কাশেম, মোহাম্মদ ফারুক, ওয়ার্চম্যানের কামরুল হাসান সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় প্রধান অতিথি এ এম নাজিম উদ্দিন তার বক্তব্য বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অথার্য়নে আন্তর্জাতিক মানের একটি টানির্মাল নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নিয়ে কেন এত ষড়যন্ত্র মাফিয়াচক্র? ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেছে আজকে তার আদর্শ বাস্তবায়ন যারা করতে চায় তারা ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যার কারণে পালাতে ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে লুটপাট করার জন্য তারা বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সংযুক্ত ২৫ হাজার অধিক শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত আছে। তাদের সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে কয়েক লক্ষ রুটি রুজি স্থান সকলের যদি নিজেদের অধিকারের জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে রাজপথে নেমে আসে স্বৈরাচারিনী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মত পালাতে পথ খুঁজে পাবে না বর্তমান চাটুকার প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তিনি আরো বলেন কলোনিতে শ্রমিকদের যে সমস্যা তা প্রশাসন বন্দর কর্তৃপক্ষ একদিনের নির্দেশে সমাধান করতে পারেন। সভায় সকলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে বন্দর প্রতিনিধি অর্থাৎ সিবিএ নির্বাচনের দাবি জানান।
প্রধান বক্তা শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্য বলেন চট্টগ্রাম বন্দরের অতীতের অনেক ইতিহাস রয়েছে শ্রমিকের দাবি আদায়ের। শ্রমিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দাবির প্রতি ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে আদায় করে নিয়েছে দাবি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি অতীতের ন্যায় এখনো ভবিষ্যতেও সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। তাই প্রশাসনের প্রতি উদার্ত আহবান শ্রমিকের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম গড়ে তুললে আপনাদের পরিণতি অনেক খারাপের দিকে যেতে পারে সেদিকে না গিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সংগত দাবি মেনে নিন।
বিশেষ বক্তা কাজী শেখরুল্লাহ বাহার বলেন, শ্রমিকেরা নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত কিন্তু তাদের দাবির প্রতি অকুত্যসমর্থন ব্যর্থ করে সকালে ঐক্যবদ্ধ প্রতিজ্ঞা শপথ নিয়েছেন। উপদেষ্টাদের যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয় তার দায়ভার বর্তমান উপদেষ্টা মন্ডলী ও সরকার প্রশাসন বন্দর কতৃর্পক্ষ সবকিছুর জন্য দায়ভার তাদের উপর বতার্বে বন্দর অচলসহ সর্বাত্ম কর্মসূচি পালন করার জন্য প্রস্তুত আছে। আগামী ১৩ই মে শ্রমিক কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন। তারপর ১৪ মে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আসছেন এরপরেও শ্রমিকদের দাবি, দেশবাসীর দাবি না মানলে ১৫ মে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বন্দর বন্ধসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার জন্য শ্রমিক কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ আছে।
৭ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে