আশাশুনির পল্লী থেকে মধ্য বয়সী এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ
উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। হত্যার শিকার গৃহবধু কমলা খাতুন (৫৫) উপজেলা
দক্ষিণ দুরগাহপুর গ্রামের মোবারক আলী গাজীর দ্বিতীয় স্ত্রী। পুলিশ লাশ
ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে এবং মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটনে নিহতের
স্বামী সহ পরিবারের ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ,
পারিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মোবারক গাজী ও
পরিবারের লোকজন খাওয়া দাওয়া শেষে স্ব স্ব ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে ফজরের
আজান শেষে মোবারক গাজী অন্য ঘরে ঘুমান তার স্ত্রীকে নামাজ আদায় করতে ডেকে
দিয়ে পাশের মৎস্য ঘেরে চলে যান। পরিবারের অন্যরা তখনো ঘুমিয়ে ছিল। তিনি
মৎস্য ঘের থেকে ৬.৫০ মি. দিকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে ঘরে না পেয়ে
খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বসত বাড়ির নিকটে বিচালী গাদার পাশে স্ত্রীর গলাকাটা
মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে হত্যাকান্ডের ঘটনা জানাজানি হয়।
খবর
পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য
মর্গে প্রেরণ করেন। পারিবারিক কলহের কারণে তাকে জবাই করে হত্যা করা হতে
পারে বলে এলাকায় আলোচনা হতে শোনা গেছে।
গ্রাম পুলিশ
রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে থানা পুলিশে মুঠোফোনে খবর দিলে
ওসি নজরুল ইসলাম সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে বেলা
১১টার দিকে নিহত কমলা খাতুনের লাশ উদ্ধার করেন। নিহতের স্বামী মোবারক গাজী
জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি কমলা বেগমকে বিয়ে করেন। প্রথম
পক্ষের পুত্র খানজাহান আলী জীবিকার তাড়নায় বাইরে কাজ করতে গেছে এবং
দ্বিতীয় পক্ষে অলিউর ও ফয়জুল নামে দুই ছেলে আছে। ৩ ছেলেকেই বিয়ে দেয়া
হয়েছে। পারিবারিক কলহের কারনে কমলার সঙ্গে তিনি এক ঘরে ঘুমান না। শুক্রবার
ফজরের আজান শেষে তিনি কমলাকে ডেকে দিয়ে মাছের ঘেরে চলে যান। সকাল ৬.৫০ টার
দিকে তিনি বাড়ি ফিরে কমলাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে
পাশের বিচালী গাদার কাছে কমলার গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
আশাশুনি
থানা অফিসার ইনচার্জ মু. নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থান
পরিদর্শন, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে
একটি ছোট ছুরি ও জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থান
থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে। নিহতের
কারন উৎঘাটনে স্বামী, ২ পুত্র ও ৩ পুত্রবধূদের জিজ্ঞাসাবাদে থানা হেফাজতে
রাখা হয়েছে। তাদের এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। #