যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সব জরিপ পেছনে ফেলে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যে অনেকগুলো অঙ্গ রাজ্যে জয়লাভ করেছেন তিনি। এ জয়লাভের ফলে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তবে অনেক স্টেটে হাড্ডাহাড্ডির লড়াই হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের জন্য প্রধান ইস্যু ছিলো অর্থনীতি। বেকারত্বের হার কম আর পুঁজিবাজারে উল্লম্ফন চললেও বেশির ভাগ আমেরিকান নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে ধুঁকছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটারদের বলেছেন, ‘চার বছর আগে আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তার চেয়ে কি তোমরা এখন ভালো আছ?। তারা বলেছেন ভালো নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদেরও একটি বড় অংশও পরিবর্তন চেয়েছেন।
ডেমোক্র্যাট ও যেসব রক্ষণশীল কখনো ট্রাম্পকে ক্ষমতায় দেখতে চাননি, তাঁদের মতে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু ট্রাম্প যে বারবার বলে এসেছেন তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, এর সঙ্গে বেশির ভাগ রিপাবলিকান একমত পোষণ করেন।
অভিবাসী নিয়ে কঠোর অবস্থানে ছিলেন ট্রাম্প। প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ করে এবং নজরদারি বাড়ানোর মাধ্যমে সীমান্ত বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তিনি কমলা হ্যারিস সমর্থিত কট্টরপন্থি ‘ক্রস-পার্টি ইমিগ্রেশন বিল’ পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন রিপাবলিকানদের প্রতি। তিনি বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি সেই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করবেন।
ট্রাম্প ভোট চাইছেন উপেক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে। এসব জনগোষ্ঠীই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন এনেছেন। তাঁরা ইউনিয়ন ওয়ার্কার্সদের মতো দীর্ঘদিনের ডেমোক্র্যাট শিবিরকে রিপাবলিকান শিবিরে পরিণত করেছেন। তা ছাড়া ট্রাম্প কর ও শুল্ক কমিয়ে আমেরিকান শিল্পের সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলছেন।
যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে শত শতকোটি ডলারের অর্থসহায়তা ও অস্ত্র দিচ্ছে, এ নিয়ে অনেক আমেরিকান ক্ষুব্ধ। তাঁরা মনে করেন, বাইডেনের শাসনামলে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল হয়ে গেছে। ভোটারদের একটা বড় অংশ মনে করেন, কমলা হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্প শক্তিশালী নেতা, বিশেষত সেসব পুরুষ ভোটার, যাঁদের জো রোগ্যানের এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প কাছে টানার চেষ্টা করেছেন।
নির্বাচনী প্রচারণার প্রচলিত ধ্যান ধারণার বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে যে, তিনি অনেক বিশেষজ্ঞের চেয়ে ভালো প্রচারণা বোঝেন। তিনি উইন্সকিনসন আর মিশিগানের মতো রাজ্যগুলোয় প্রচারণা চালিয়েছেন, যা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করতেন যে, তার পক্ষে নেয়া সম্ভব না। এমনকি দরজায় দরজায় প্রচারণার বদলে বিশাল বিশাল র্যালি আর সমাবেশ করেছেন তিনি। তার অনেক প্রচারণার কৌশল বিশেষজ্ঞদের কাছে ঠিক মনে হয়নি, কিন্তু সেগুলোয় শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে।
৬ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
২ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৩ দিন ১৩ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৪ দিন ১০ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
৪ দিন ১২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
৪ দিন ১২ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৫ দিন ১৪ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৬ দিন ১৫ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে